আলতাফ হোসেন অমিঃ
নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। কিন্তু কথা হলো প্রতিনিধি বাছাই সিদ্ধান্ত আমরা কীভাবে গ্রহণ করব। প্রতিনিধির ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দক্ষতা, নৈতিকতা নাকি সে কোনো দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে!নির্বাচন ঘিরে দেশের জনগণের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়ছে। প্রতিটি আসনে বিভিন্ন দল থেকে একাধিক প্রার্থী দাঁড়িয়েছে । দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি কাকে ভোট দেবেন? প্রার্থীর কোন বিষয়টি আপনি বিবেচনা করবেন?
সাধারণত দেখা যায় প্রার্থীর দলীয় প্রতীক বিবেচনা করে আমরা ভোট প্রদান করে থাকি। কিন্তু আমরা ভুলে যাই দলীয় প্রতীক আপনার এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবে না প্রতিনিধিত্ব কবরে আপনার এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি। আপনার এলাকার উন্নয়ন থেকে শুরু করে শান্তিশৃঙ্খলা সব কিছু নির্ভর করবে আপনি যাকে নির্বাচিত করেছেন তার ওপর। মনে করেন আপনি ‘ক’ দলের একনিষ্ঠ সমর্থক। কিন্তু আপনার এলাকায় ‘ক’ দলীয় প্রতীকে একজন অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ প্রার্থী মনোনীত হয়েছে। তাহলে কি আপনি শুধু দলীয় প্রতীকের কারণে ঐ অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট দেবেন! ঐ অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি আপনার এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবে! এটা সত্যি যে আপনার দলীয় প্রতীক জেতাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার এলাকার প্রতিনিধি। আপনি সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার এলাকার ক্ষতি করতে পারেন না। ওই অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি উন্নয়ন দূরের কথা, বরং এলাকায় অশান্তি, সন্ত্রাসী, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আস্তানা সৃষ্টি করবে। তখন আপনার উচিত হবে অন্য প্রার্থীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়া। যে প্রার্থী নির্বাচন ছাড়া বছরে দুবার আপনার এলাকায় আসে না তাকে কীভাবে আপনি ভোট দেবেন। যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে মানুষকে অস্ত্র ঠেকায় আপনি কেন তাকে ভোট দেবেন? বিগত দশ বছরে যাকে আপনি এলাকায় দশবার দেখেননি তাকে কেন আপনি ভোট দেবেন! সে নির্বাচিত হলে আপনার এলাকার কি উন্নয়ন হবে। তাই দলীয় প্রতীক দেখে ভোট নয় প্রার্থী দেখে ভোট দিন। তাহলে আপনার উন্নয়ন হবে, আপনার এলাকার উন্নয়ন হবে, দেশের উন্নয়ন হবে। কারণ দলীয় প্রতীক আপনার এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবে না করবে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই দলীয় প্রতীক দেখে নয় যোগ্য প্রতিনিধি দেখে ভোট দিতে হবে।