তাজ চৌধুরী দিনাজপুর ব্যুরো
মা মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে স্বর্ণের দোকানে গহনা তৈরি করতে গিয়ে এসিড পানে মোনতাহুল জান্নাত সাবা (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে ওই স্বর্ণের দোকান মালিক সাইফুল ইসলাম (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ। আটক সোমা জুয়েলার্সের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম উপজেলার রামপুর এলাকার সবুজার রহমান এর ছেলে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা শহরের সোমা জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। শিশু মোনতাহুল জান্নাত সাবা উপজেলার বিনোদনগর নন্দনপুর গ্রামের শাহাজুল ইসলামের মেয়ে। বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানার এসআই নুরুজ্জামান বলেন, ‘সকালে উপজেলা শহরের সোমা জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে মা মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে গহনা তৈরি করতে যায় শিশু মোনতাহুল জান্নাত সাবা। সেখানে ক্ষুধা পেলে শিশুটি মায়ের কাছে থাকা বিস্কুট খেয়ে পানি খেতে চায়। এ সময় ওই দোকানের মালিক সাইফুল ইসলাম গ্লাসে করে পানির বদলে স্বর্ণ পরিষ্কার করা এসিড খেতে দেয়। গ্লাসের এসিড খেয়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর শিশুটি মারা যায়। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহাজাহান আলী বলেন, ‘অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে তার মা মোর্শেদা বেগম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার আগেই শিশুটি মারা গেছে। শিশুটির মায়ের বর্ণনা অনুযায়ী পানির পরিবর্তে স্বর্ণের দোকানের এসিড পানে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে’। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বলেন, ‘স্বর্ণের দোকানের এসিড পান করে শিশু মৃত্যের ঘটনায় দোকানের মালিক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে’। বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, ‘শিশুমৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সোমা জুয়েলার্সের মালিক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির পরিবার মামলা করলে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।