সোমবার নারায়ণগঞ্জে ‘নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল’ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিদিনই কোনো না কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির কাছে ব্যাখা চাওয়াসহ একজন প্রফেসর চিকিৎসকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির যারা অপরাধ করেছে তাদের কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো জায়গায় অনিয়ম দুর্নীতির কোন তথ্য প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য সচিব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা দিলেও তথ্য উপাত্ত এবং উপযুক্ত প্রমাণ পেতে অনেক সময় কিছুটা বিলম্ব হয়। তবে দেশের সরকারি বেসরকারি যে কোন হাসপাতালে কোন ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়াসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সীলগালা করে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তৎপর রয়েছে। আমরা চাই সত্য বেরিয়ে আসুক এবং আমরা সত্যের সঙ্গেই থাকতে চাই।
ব্রিফিং শেষে স্বাস্থ্য সচিব সদর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি সভায় অংশ নেন। পরে নগরীর খানপুরে সরকারি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল ও সিদ্ধিরগঞ্জে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাজেদা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তানজিয়া সালমা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. গৌতম রায়, জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসান বিন আলীসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।