1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
নওগাঁর মান্দায় আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

নওগাঁর মান্দায় আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১.৪৮ এএম
  • ২৩৬ বার পঠিত

মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর মান্দায় বুড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎসের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তিস মন্ডল ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগসহ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
অভিযোগরে প্রেক্ষিতে জানাগেছে, মান্দা উপজেলার বুড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী পদে গত আড়াইমাস আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই এলাকার ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনের ফেইসবুক মেসেঞ্জারে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রামাণিক পাঠিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। ভুক্তভোগী ফারুক সভাপতির সঙ্গে দেখা করলে তার স্ত্রী শরিফুন নাহারকে আয়া পদে চাকরি দিবে বলে অফার করেন। এরপর তাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে বসে চাকরি দিবে মর্মে মৌখিক একটি চুক্তি করেন। এবং লেনদেনের বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আহাদ আলীর সাথে বসে কথা বলতে বলেন। ফারুক তার সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে চাকরি নিতে হলে স্কুলের উন্নয়নের জন্য ১২লাখ টাকা দাবী করেন তারা। একপর্যায়ে ৯লাখ টাকায় দফারফা হয়। এবং চুক্তি অনুযায়ী আগাম টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান সভাপতি সুজয় প্রামাণিক। পরে ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জমি ও সুদে লোন নিয়ে তিন ধাপে ৯ লাখ টাকা তুলে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সুজয় প্রামাণিকের হাতে। পরবর্তীতে দলের চাপ রয়েছে বলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন সভাপতিও প্রধান শিক্ষক ।
তবে বর্তমানে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন অস্বীকারসহ ভুক্তভোগীকে হয়রানি ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক তিপ্তিস মন্ডল ও সভাপতি সুজয় প্রামাণিক।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের শামুকখোল (বুড়িদহ) গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বলেন, স্কুলের সভাপতি সুজয় প্রামাণিক মেসেঞ্জারে আমাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠায় এবং পরবর্তীতে দেখা হলে আমার স্ত্রীকে চাকরি দিবে বলে অফার করেন। এরপর আমাকে প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিবে মর্মে মৌখিক চুক্তি করেন। এর জন্য টাকা লাগবে সে জন্য আমি আমার স্ত্রীর জমি বিক্রি করে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আসি। এরপর চুক্তিবদ্ধ টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে এক ব্যক্তির নিকট থেকে চড়া সুদের উপর ৩ লক্ষ টাকা নেই। প্রথম ধাপে প্রধান শিক্ষককে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি কনফার্ম করি। এরপর ২য় ধাপে সভাপতি সুজয়কে তার অফিসে রাতের বেলায় তার( অফিসে) ৩ লাখ টাকা দেই এবং পরবর্তী তৃতীয় ধাপে আরো ১লাখ টাকা দেই । টকা দেয়ার সময় আমাদের গ্রামের ৩জন ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে সাথে নিয়ে গেছি তাদের সামনেই টাকা লেনদেন হয়েছে তারা সকলে বিষয়টি অবগত আছেন।
কিন্তু পরবর্তীতে তারা আরো ১ লাখ টাকা দাবী করে আমি সে টাকাটা না দিতে পারায় কিছু দিন পর তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা আমাকে এড়িয়ে যান। এর বেশ কিছুদিন পরে তারা জানান চাকরি দলীয় নেতাকর্মীরা দিবে। আমাদের হাতে কিছু নেই বলে সাফ জানান। আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন তারা। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় তারা। বর্তমানে আমি নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন মহলে দ্বারস্থ হলেও এর প্রতিকার মিলছে না। শেষে আমি উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
বুড়িদহ গ্রামের সুজন কুমার ও দীপঙ্কর চৌধুরী বলেন, ফারুক ভাইয়ের স্ত্রীর চাকরির জন্য আমরা ফারুক ভাই সহ তিনজন মিলে প্রায় দেড়-দুই মাস আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা এবং স্কুলের সভাপতি সুজয়কে ৩ (তিন) লাখ টাকা দিয়েছি। টাকাগুলো আমাদের সামনেই ফারুক ভাই তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে আমরা এ বিষয়ে অবগত রয়েছি।
বুড়িদহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিপ্তিস মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফারুকের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা আমি নেই নাই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ ফারুক আমার কাছে তার স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে এসেছিল আমি বলেছি দরখস্ত করুক ভাগ্যে থাকলে হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রমানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ করলেই যে তার সত্যতা থাকবে সেটা কে বলছে । ফারুক আমার কাছে আসেনি বা আমার সাথে তার কোন লেনদেন হয়নি। এটা মিথ্যা বানোয়াট কথা। তবে এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউ এন ও)আবু বাক্কারও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ আলম শেখ বলেন, বুড়িদহ স্কুলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews