এ অবস্থায় কুড়িগ্রামে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলছে জরুরি সভা। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে চরাঞ্চলসহ ১৬ নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউপির কালুয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ধরলা ও তিস্তা নদীর অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে ওইসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারো বন্যার কবলে পড়লে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের।
নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ইউনুছ আলী। তিনি জানান, বন্যা শেষ না হতেই আবারো বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। এমনিতেই অবস্থা খারাপ। তাতে আবারো বন্যার খবর শুনে আমরা শঙ্কায় আছি। এই বন্যা দীর্ঘ হলে আমাদের কষ্টের শেষ থাকবে না।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, গত মাসের ২৪ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। সেই বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নেমে যায়নি। এরমধ্যে আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা আরো দীর্ঘায়িত হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে বন্যা কবলিত মানুষদের।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। আমরা দ্বিতীয় দফার বড় বন্যাকে মোকাবিলা করতে এরমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।