থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো নবযাত্রা’র আয়োজনে নবযাত্রা যন্ত্রসংগীত উৎসব’২৩ উপলক্ষে নবীন ও জনপ্রিয় যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের নিয়ে যন্ত্রসংগীতের অনুষ্ঠান “নব সুরের বন্ধন”।
নবযাত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও নবযাত্রা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রোটারিয়ান কবি গিটারশিল্পী দুর্জয় পাল এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত “এসো আমার ঘরে এসো” গানটি হাওয়াইয়ান গিটারে সুর বাদনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ওস্তাদ সানু দাশগুপ্ত। গানটির সাথে নৃত্য পরিবেশনায় ছিলো রৌদ্রিতা ভট্টাচার্য্য।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট গিটারশিল্পী ডা. বাবুল কান্তি সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রফেসর ও প্রভোস্ট ড. উদিতি দাশ। প্রধান সমন্বয়কারী গিটারশিল্পী রাজীব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি সাজানো ছিলো একক হাওয়াইয়ান গিটার বাদন, বেহালা বাদন, বৃন্দ তবলা পরিবেশনা, মোহনবীণায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে।
হাওয়াইয়ান গিটারে বিভিন্ন গানের সুর তোলেন যথাক্রমে শিল্পী সানু দাশগুপ্ত, উদিতি দাশ, দুর্জয় পাল, বিশুতোষ তালুকদার, সাত্বিক দাশ, কনিকা বৈষ্ণব, স্বস্তিকা তালুকদার, ডা. বাবুল কান্তি সেনগুপ্ত, সাথী দে, রাজীব চৌধুরী, লাকী দাশগুপ্তা, ডা. দীপন বৈদ্য, ডা. মুহম্মদ নওশাদ খান, পূর্ণোপমা দাশ, ঋত্বিকা দে।
বেহালা বাদনে ছিলেন শিল্পী প্রদ্যুৎ আচার্য।
মোহনবীণায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মিটন বিশ্বাস।
স্প্যানিশ গিটারে সুর বাজান মিথিল রায় ও আয়ুশ্মান ভট্টাচার্য্য। নৃত্য পরিবেশনায় রৌদ্রিতা ভট্টাচার্য্য, অনুসূয়া চৌধুরী ও দুলাল দে।
তবলাশিল্পী পলাশ দেব এর পরিচালনায়, তপন নয়ন আচার্যের কী বোর্ডে বৃন্দ তবলা বাদন পরিবেশন করেন অনয় চক্রবর্তী, শ্রেষ্ঠ দে, সৌম্য পাল, সপ্তদ্বীপ বড়ুয়া, সৌমিত্র বড়ুয়া, রাদিয়াহ্ মেহজাবিন সিদ্দিকী, স্বপ্নদ্বীপ দাশগুপ্ত, অরিন্দম পান্ডে, পার্থ দাশ, অর্পণ দাশ, অনিক দাশ, সৌম্য সরকার, অনিন্দ্য দে, বিশাল বড়ুয়া, নিলয় বড়ুয়া, বর্ণ সাহা, প্রমী শীল, তীর্থ চৌধুরী, কাব্য চৌধুরী, চয়ন বড়ুয়া, রাকেশ কান্তি দাশ, অজয় দত্ত, প্রনয় দাশ, আদিত্য দাশ প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠানে যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন কী-বোর্ডে সৈকত নন্দী, তবলায় মৃদুল পারিয়াল, হাওয়াইয়ান গীটার পরিচালনায় ওস্তাদ সানু দাশগুপ্ত, উপস্থাপনায় ছিলেন সামিনা চৌধুরী, হল ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য দায়িত্বে ছিলেন তপন ভট্টাচার্য্য, সঞ্জয় পাল, ডা. নাজনীন আক্তার সেতু, শংকর চৌধুরী, মো: রাসেল, শিমুল দত্ত, মো: রিয়াদ প্রমুখ। সার্বিক পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন দুর্জয় পাল।
একই মঞ্চে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডর “এসএসসি’২৩” পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত নির্বাচিত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়, যারা “পিক মেধা বৃত্তি”র ট্যালেন্টেড শিক্ষার্থী। সংবর্ধিত কৃতি শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দিব্যেন্দু পাল, অভিক কুমার দাশ, নিবিড় সেনগুপ্ত, সুদীপ্ত বিশ্বাস, অদ্রিকা পাল কৃপা, স্নিগ্ধা দে শৈলী, শ্রেয়ান সাহা, বুনন মজুমদার প্রমুখ।
বিশাল এলইডি স্ক্রিনে মঞ্চের পর্দা সাজানো ঝলমলে এই মিলনমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সকল শিল্পীদের ছবিসহ সুদৃশ্য ও সমৃদ্ধ রঙিন স্মরণিকা।
অনুষ্ঠানে পারফর্মকৃত সকল শিল্পীকে প্রদান করা হয় শিল্পীর ছবিসহ সম্মাননা সনদ।
জনপ্রিয় “আমা” কফি কোম্পানি ছিলো কফি স্পন্সর।
সুর ও ছন্দের ছোঁয়ায় উপস্থিত দর্শক শ্রোতার মনে লেগেছে নব সুরের নব তান।
সুর তরঙ্গের মূর্ছনায় অবগাহন করেছে সকল সুধী দর্শক মন্ডলী, যার অনুরনন ছড়িয়ে পড়েছে সকল প্রাণে, চট্টগ্রাম হতে দেশ ও দেশান্তরে।
যন্ত্রশিল্পীদের উক্ত ব্যতিক্রমধর্মী জমজমাট মিলনমেলায় হলভর্তি ছিলো সাহিত্য, সংস্কৃতিসেবী ও সংগীতানুরাগীগণ পদচারনায়।