তৌহিদুল ইসলাম সরকার
নান্দাইলে বাড়ির উঠানে ঢুকে নিজ ঘরের সামনে আল-আমিন (৩২) কে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা রমজান আলী (৬৫) বাঁধা দিতে গিয়ে দায়ের কুপে গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ মার্চ (বুধবার) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউপি’র ৮ নং ওয়ার্ডের হারিয়াকান্দি গ্রামে।
এ ঘটনায় ঘাতক মাজহারুল (২৫) কে ধাওয়া দিয়ে ধানক্ষেত থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।
ঘাতক একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধীতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দীনের পুত্র। হত্যাকান্ডের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- (বুধবার) রাত ১০ টার দিকে নিজ ঘর থেকে আল-আমিন ও তার পিতা রমজান আলীকে ডেকে বের করে পাশ্ববর্তী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র মাজহারুল। আল-আমিন ঘর থেকে বের হতেই মাজহারুলের হাতে থাকা রামদা দিয়ে কুপিয়ে আল-আমিনকে হত্যা করে। তার রমজান আলী বাঁধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রমজান আলীকে উদ্ধার করে, নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিহত আল-আমিনের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান- আমার স্বামী বাজারে করে এনেছে আমি তা ব্যাগ থেকে বের করে চৌকিতে রাখতেছি। এমন সময় শব্দ শুনে বের হয়ে লাইট ধরে দেখি,একজন রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে বুক বরাবর। এতে তিনি মাটিয়ে লুঠিয়ে পড়ে মারা গেছে। এসময় আমার শ্বশুর কেও কুপিয়েছে।
জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া মুঠোফোনে বলেন- কি কারনে এমন হত্যাকান্ড ঘটেছে তা জানতে পারেনি। আমি ঘটনা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় মাজহারুল কে জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।