নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন টিক্কারচর সেতুর উত্তর পাড়ের গোলাবাড়ী রোডে,বিবির বাজার ও কটক বাজার রোডে ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট সক্রিয়। একাধিক সূত্র ধরেই জানা যায় যে আন্তর্জাতিক কারবারি নগরীর চর্থার আমজাদ হোসেন রিপন অস্ত্র ও গোলাবারুদ করছেন মজুদ।
একাধিক এলাকাবাসী ও তার একান্ত সহযগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, রিপনের সৌদি মোবাইলের দোকান আছে বলে সবাই জানেন,আসলে না সে মূলত ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণের বার,ইয়াবা,হেরয়িন,হোয়াইন,দামী অস্ত্র এর ব্যবসা করে দীর্ঘদিন যাবত ইন্ডায়া থেকে আন অফিসিয়াল মোবাইলও বাংলাদেশে আনে।সে প্রতি মাসে ১৫ দিন থাকেন বাংলাদেশে আর ১৫ দিন থাকেন সৌদি সহ বিভিন্ন দেশে!
কুমিল্লা আদর্শ সদরের গোলাবাড়ী সীমান্ত রোডের গোমতী সেতুর উত্তরপাড় শালধর চেকপোষ্টে ০২সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং রাত অনুমান সাড়ে ৭টায় এস আই মনির ও এএসআই আরমান টিম ওই সিন্ডিকেটের ০৩ টি বিলাশ গাড়ি বহরে এক যোগে আসার পথে তল্লাশি করে মাল সহ ধরে-দফারফা শেষে ছেড়ে দেওয়ার সময়,ভিডিও করতেছেন এই সন্দেহে ৩ সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে,উক্ত হামলার ঘটনায় এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন, প্রচুর পরিমান রক্ত ক্ষরণ হয়েছে ঐ সাংবাদিকের!
অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায় যে কুমিল্লা জেলা সদরের বিবির বাজার,কটক বাজার, অরণ্যপুর,শশীধল, বাগড়া, গোলাবাড়ি, আশাবড়ি, শংকুচাইল, শুয়াগাজী, কনেশতলা,এক বালিয়া ও ১৪ গ্রাম পর্যন্ত রয়েছে ভয়ঙ্কর ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে মোট কথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সব গুলি সীমান্ত আমজাদ হোসেন রিপনের সিন্ডিকেটের দখলে যখন তখন প্রবেশ ও যা ইচ্ছে তাই নিয়ে আসতে পারেন!
তারা স্বর্ণের বার, ইয়াবা,হেরয়িন, হোয়াইন,দামী অস্ত্র ও আন অফিসিয়াল মোবাইলের চোরাই ব্যবসা! তার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়াতে শিশু সহ নারী পাচারের অভিযোগও উঠেছে তবে এই বিষয়ে এখনও আমাদের অনুসন্ধান চলছে!
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের দামী গিফট দিয়ে,নেতাদের সাথে ছবি তুলে-যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলকেই আমজাদ হোসেন রিপন ব্যবহার করেন!
অনেকেই বলছেন,সে ঢাকার আলোচিত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট এর মতোন নিজেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন, অনলাইন ফেইবুকে এমপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ব্যবহার করে নিজেকে সরকার দলীয় লোক বলে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন। সরকার দলীয় এমপি ও নেতাদেরকে নাম ব্যবহার করে।
বর্তমান সরকার দলীয় নেতাদের সহযোগিতায় রিপন চক্র দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে- জামায়াত ও বিএনপির প্রোডাক্ট,আন্ডার গ্রাউন্ডে সে জামায়াত ও বিএনপির নেতাদেরকে পরিবার সহ সৌদিতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান ওখানে ফ্রিতে হজ্ব পালন সহ সব কিছুই আমজাদ হোসেন রিপন বহন করেন। তাদেরকে আসার সময় আবার নিজের কিছু মালামাল দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন তাদেরকে দেন আর্থিক যোগান! সূত্র নিশ্চিত করেন,সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমজাদ হোসেন রিপন চক্র অস্ত্র ও কালো টাকার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক দল গুলি কে।
এদিকে কুমিল্লায় সীমান্ত চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক একেএম নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে গোলাবারুদ ও অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবির সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলে তিনি জানান!
অনুসন্ধান সূত্র জানান, ওয়ারেন্টের আসামী আমজাদ হোসেন রিপনের অবৈধ লেনদেন চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তের চেক পোস্টে!
আমজাদ হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট তবুও ঘুরে প্রকাশ্যেই, চর্থার এক লোককে কুপিয়ে অঙ্গহানি করে,এঘটনার মামলা দায়েরের পরে তার বাবা তাকে সৌদিতে পাঠিয়ে দেন অত্যন্ত একটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিল,সৌদিতে গিয়ে ওই আমজাদ হোসেন রিপন কালো বাজারীর ব্যবসার লাইন পেয়ে এখন কালো টাকার বনে গেছেন!
সে বলছেন-এমপি তার কথায় উঠবস করেন আর প্রশাসন আমার কাছ থেকে মাসিক নেন আমার কথা মতো চলে।