1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
নির্বাচনে হেরে মসজিদ ভেঙ্গে নিয়ে গেলেন নৌকার প্রার্থী
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

নির্বাচনে হেরে মসজিদ ভেঙ্গে নিয়ে গেলেন নৌকার প্রার্থী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪.১১ এএম
  • ৪৬৩ বার পঠিত

শহিদুল ইসলাম সোহেলঃ

ইউপি নির্বাচনে ভোটে হেরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেছেন পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়,গত ১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম পরাজিত হন। নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী সরকার নুরে আলম মুক্তা।
নির্বাচনে হেরে মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্হানীয় সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান। গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী সরকার নুরে আলম মুক্তার কাছে হেরে যান। হেরে যাওয়ার ক্ষোভে গত মঙ্গলবার তিনি টিনের তৈরি মসজিদ ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
মসজিদের পাশের বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন,মসজিদটি ভেঙে নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েপরায় ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে আমরা গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করবো।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম বলেন,আমি এখনো শপথ নেইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল।অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যান সাহেবের নেই। আমরা ওই স্থানে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন,আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছে না। খালাতভাইয়ের অনুমতি নিয়েই ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন,নামাজখানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews