বিএনপিসহ কিছু দল আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় এবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারছেন। মজার ব্যাপার হলো দেশের অনেক আসনেই ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা জাতীয় পার্টির এমপির বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করেছে এবং ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামীলীগের প্রার্থী নমিনেশন না পেলে যেকোনো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এবং বাকীরা সাপোর্ট দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিলেন তার দলের যে কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারবে তখন আর ঐক্য থাকলো না। কিছু আসনে জাতীয় পার্টি নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় সেখানে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে পূর্বের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গেল। অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন, যারা দলীয় নমিনেশন পেপার সংগ্রহ করেছিলেন কিন্তু নমিনেশন না পাওয়ায় নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনি উৎসব দেখা গেলেও দলীয় কোন্দল তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এবার প্রার্থীদের ঠিকই ভোটারের দ্বারে দ্বারে যেতে হচ্ছে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্য। জনগণ সংসদ সদস্য হিসেবে খুঁজে নিবে যোগ্য প্রার্থীকে । অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী আছে মহা বিপাকে। সারা জীবন নৌকার শ্লোগান দিয়ে এখন কীভাবে অন্য প্রতীকের পক্ষে শ্লোগান দিবে কিংবা ভোট চাইবে? নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয় নেতা- কর্মীদের নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহনের সম্ভাবনাই বেশি।