নড়াইল সদর পৌরসভা :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনজুমান আরা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নড়াইল সদর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আনজুমান আরা। তিনি পৌরসভার আলাদাতপুর চরের ঘাটের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী ছিলেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম অ্যাভোকেট মো: সিদ্দিক আহমেদ। তাঁর শিক্ষাগতযোগ্যতা এমএ পাশ।
মনোনয়ন দাখিলের সময় তার হলফনামায় দেখা যায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন ফৌজদারী মামলা ছিলো না।
হলফনামায় তার বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে, কৃষিখাত হতে ২ লক্ষ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৬০ টাকা, পেশা হিসেবে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, চাকুরী হতে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২২৮ টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা আয় হয়।
সম্পদ হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে নগদ টাকা ৫ লক্ষ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমান ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬২৫ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ অলংকার।
এছাড়া শহরে তার নিজ নামে অকৃষি জমি হিসেবে রয়েছে ০৫ শতক জমি। স্বামীর নামে কৃষি জমি রয়েছে ২ একর এবং শহরে নিজ নামে ১টি দ্বিতল দালান বাড়ি। তার নামে তফসীলভুক্ত কোন ব্যাংকে ঋণ বা দায়দেনা নেই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মনোনীত নড়াইল সদর পৌরসভার ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী। তিনি পৌরসভার আলাদাতপুর মন্ডলপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।
মনোনয়ন দাখিলের সময় তাঁর হলফনামায় নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস হিসেবে তাঁর বার্ষিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। প্রার্থীর নির্ভরশীলদের (চাকুরী) আয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪৮ টাকা। প্রার্থীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের রয়েছে নগদ টাকা ১ লক্ষ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অর্থের পরিমান নিজ নামে রয়েছে ২ হাজার টাকা, নিজ নামে স্বর্ণ অলংকার রয়েছে ০১ ভরি এবং স্ত্রীর নামে ০৯ ভরি। স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে, কৃষি জমি যৌথ মালিকানা ০২ একর, যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে প্রার্থীর অংশ .৩৬ একর। অকৃষি জমি নির্ভরশীলের নামে ১৯ শতক। নির্ভরশীলের নামে ০৫ রুম বিশিষ্ট ১ তলা দালান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী মাওলানা মো: খায়রুজ্জামান
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’এর মনোনীত প্রার্থী মাওলানা খায়রুজ্জামান নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি পৌরসভার মহিষখোলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল পাশ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ২০ হাজার টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ হাজার টাকা, ১টি মটরসাইকেল এবং স্ত্রীর নামে ৫ভরি স্বর্নালংকার রয়েছে।
কালিয়া পৌরসভা:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো: ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত কালিয়া পৌরসভার নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো: ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)। তিনি কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।
এদিকে তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারী মামলা ৪টি। পরে তিনি এসব মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান। সম্পদ হিসেবে রয়েছে নিজ নামে নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমান ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণ অলংকার।
এছাড়া শহরে তাঁর নিজ নামে ০১ একর অকৃষি জমি হিসেবে নিজ নামে রয়েছে। যৌথ মালিকানায় অকৃষি জমি ‘৩৮ শতক, ‘৫৬ শতক যৌথ মালিকানার ভেতর নিজ নামে রয়েছে ০৮ শতক জমি।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনীত কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি কালিয়া উপজেলার রামনগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাশ।
মনোনয়ন দাখিলের সময় তার হলফনামায় দেখা যায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারী মামলা আছে ৪টি এর মধ্যে ৩ টি চলমান এবং ১টি বিচারাধীন রয়েছে। সম্পদ হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমান ১০ হাজার টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্ণ অলংকার রয়েছে।
এখানে আরো উল্লেখ করা হয় তাঁর বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে কৃষিখাত হতে ৫০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৩৬ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান
আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে চামচ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান। তিনি বিগত মেয়াদে কালিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তিনি কালিয়া পৌরসভার বেন্দারচর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ।
এদিকে তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন ফৌজদারী মামলা নেই। সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ টাকা ১ লক্ষ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৪০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমান ৪০ হাজার টাকা এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ অলংকার দেখানো হয়েছে। হলফনামায় বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে কৃষিখাত হতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ব্যবসা হতে ১৮ লক্ষ ৬ হাজার ৪’শত টাকা।
এছাড়া কালিয়া পৌর এলাকায় তাঁর নিজ নামে ১.৬৯ একর এবং অকৃষি জমি হিসেবে নিজ নামে রয়েছে ০.০৬৬০ একর। ০৯ শতক জমির উপর ১টি দ্বিতল দালান বাড়ি এবং অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ১টি প্রাইভেট কার, ১টি মোটরসাইকেল দেখানো হয়।
এছাড়া তৃতীয় ধাপে নড়াইল সদর পৌরসভা নির্বাচনে
সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী শনিবার ৩০ জানুয়ারি’২১ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে নড়াইল পৌরসভায় ৩৪,৩১৩ জন এবং কালিয়া পৌরসভায় ১৬,৩৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
উরোল্লেখিত সকল তথ্য সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশিত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য। নড়াইল ও কালিয়া পৌর নাগরিকদের সচেতনতা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বর্তমান, অতীত এবং নির্বাচিত হওয়ার পর নাগরিক অধিকার ও সেবা প্রাপ্তির কথা বিবেচনা করে এ ধরনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ ধরনের তথ্য জানার অধিকার সকল নাগরিকের রয়েছে।
Leave a Reply