ওয়াকিল আহমেদ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। শুক্রবার সকাল থেকে এই ধর্মঘটে বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল। চলছে না পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানও।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ প্রাইভেটকার, বাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
রাজধানীর প্রতিটি বাসস্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমায় থাকা যাত্রীদের ভিড়। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা।
শনিবার সকালে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষেরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়ে গণপরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন। রিকশা নিয়ে পথের দূরত্ব কমাতে হচ্ছে তাদের। ধর্মঘটের কারণে রাজধানীসহ সারা দেশেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাজধানীতে অটোরিকশা, রিকশা ও বাইকের ভাড়া তিন গুণ হয়ে গেছে। ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি সমাধানে বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবারই এর সমাধান করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। তারা দীর্ঘসূত্রতা করেছে। এ কারণে ভোগান্তি হচ্ছে। এর দায় মালিকদের নয়। তবুও অনিচ্ছাকৃত এ ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
তিনি বলেন, সরকার হঠাৎ করেই প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়তি দামে তেলে গাড়ি চালালে প্রতি প্রতি ট্রিপে লোকসান গুনতে হবে। তাই সারা দেশে সব বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়া কীভাবে তাদের গাড়ি চালাতে বলব।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি গেজেটে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি। তাই সারাদেশে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন