চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরের রুবিগেট যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে স্টান্ড তেরি করছেন চালক সমিতির লোকেরা।
চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে রুবিগেট মোড়ে পযন্ত প্রধান সড়কের পাশে ও বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ট্রাক,বাস,মিনি ট্রাক, পিকআপ এবং মালবাহী ট্রাকের স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডের কোনো বৈধ অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর এসব স্ট্যান্ড টিকে আছে। মানুষ এবং গাড়ি চালকদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব স্ট্যান্ড। অপর দিকে, এই স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রকেরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
রুবিগেট মোড় থেকে বালিকার মোড় পযন্ত গড়ে উঠেছে অবৈধ মিনি ট্রাক,ও পিকআপ এর স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ড দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা চলাচল করে। এই স্ট্যান্ডের কোনো অনুমোদন নেই বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এরা চালক সমিতির মাধ্যমে এই স্টান্ড গড়ে তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, এই রাস্তার পাশে গাড়ি রাখতে হলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ করে টাকা দিতে হয় এই সংগঠনকে এবং মাসিক দিতে হয় ৩০০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা।
রাস্তার এই দুই পাশে গাড়ি রাখার কারনে দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা ও সাধারণ চালকেরা। রাতের আধারে এই গাড়িগুলো রাখা হয় প্রধান সড়কে। এই স্টান্ড গুলোতে মোট ট্রাক রয়েছে ৫০০ এর অধিক।
স্টান্ডটির সাধারণ সম্পাদক আহসান আলী বলেনঃ এই রুবিগেট স্টান্ডটি পাকিস্তান আমল থেকে রয়েছে। আমাদের কোনো টার্মিনাল না থাকায় আমরা এই ভাবে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখি। এইসব বিষয় নিয়ে মাননীয় সড়ক মন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে যে আমাদেরকে একটি টার্মিনাল এর ব্যবস্থা করে দেন। আর প্রশাসনের লোকেরা কোনো বড় প্রোগ্রাম থাকলে আগে থেকে বলে দিলে আমারা রাস্তা থেকে গাড়ি সরিয়ে ফেলি। এই বিষয় নিয়ে অনেকে নিউজ করেছে কিন্তু কোনো লাভ হয় নি।
এই সব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর ট্রাফিক বিভাগের ডিসিকে মুঠোফোন প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ আমি একটি জরুরি মিটিং এ আছি, আপনার সাথে পরে কথা বলব!!!ধন্যবাদ।
এভাবেই চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে রুবিগেট মোড় পযন্ত বিভিন্ন এলাকায় মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে স্ট্যান্ড। অবৈধভাবে এসব স্ট্যান্ডের পেছনে রয়েছে লাখ লাখ টাকার লেনদেন। নিরবেই ঘটছে চাঁদাবাজি। এসব চাঁদাবাজি নিয়ে কোনো অভিযোগও নেই কারো। গাড়ির মালিক-চালকেরা অবৈধভাবে রাস্তা আটকে স্ট্যান্ড বানিয়েছে। আর কতিপয় পুলিশ ও মাস্তানরা তার বিনিময়ে পাচ্ছে টাকা। কে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে? এতে পথচারীরা ও সাধারণ চালকের পড়ছেন বিপাকে।
গোপন সূত্র অনুযায়ী, রাতের গভীরতা বাড়লে অক্সিজেনের মোড় থেকে রুবিগেট এর মোড়ে পর্যন্ত যে যেভাবে পারে রাস্তার ওপর রেখে দেয়। ফলে যেকোনো সময়ে এখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিনি ট্রাক চালক বলেন, স্ট্যান্ডের কোনো অনুমোদন নেই ঠিকই, কিন্তু কেউ তো বাধা দিচ্ছে না। ওই চালক বলেন, পুলিশসহ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা এখান থেকে বখরা পান। না হলে কি এভাবে সরকারি রাস্তা
দখল করে স্ট্যান্ড বানানো যায়?
আরও বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আসছে ২য় পর্বে।