1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পানির দরে চামড়া কিনেও ধরা ব্যবসায়ীরা, ফেলতে হচ্ছে পদ্মা নদীতে
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ১৯ দোকানদার!গাফিলতির অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের উলিপুরে “তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালুখালী উপজেলা ছাত্রদলের শাওরাইল ইউনিয়নের কর্মী সম্মেলন  অনুষ্ঠিত                  খেলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ রাজশাহী পুঠিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা পুড়ছে কাঠ লোহাগড়া কৃষি অফিসে বিভিন্ন তথ্য পেতে সাংবাদিকদের ভোগান্তি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় মা হারা হাতি শাবকটি রইছে নিবিড় পরিচর্যায়। সারদা পুলিশ একাডেমিতে কনস্টেবলদের স্থগিত হওয়া সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় গরু ব্যবসায়ী অপহরণ: শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি ডামুড্যায় জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিক সহ আহত ৩

পানির দরে চামড়া কিনেও ধরা ব্যবসায়ীরা, ফেলতে হচ্ছে পদ্মা নদীতে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০, ৩.২৭ পিএম
  • ২৪৮ বার পঠিত

রাজশাহীতে এবার কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে পানির দরে। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ২০-২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করেছিল সরকার। সেই দামও পাওয়া যায়নি চামড়া বিক্রির সময়। ছাগলের চামড়া রাজশাহীতে ৫ থেকে ৩০ এবং গরুর চামড়া ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অবশ্য একটু বেশি দামে চামড়া কিনেছিলেন। তারা ধরা খেয়েছেন। আড়তে বিক্রি করতে না পেরে সেই চামড়া পদ্মা নদীতেও ফেলে দিতে দেখা গেছে।

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার তারাই ঠিকমতো বাজার বুঝতে পারেননি। একদিনের জন্য চামড়া কিনতে এসে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও বোঝেননি। ফলে তাদের লোকসান বেশি। একজন মৌসুমী ব্যবসায়ীও লাভ করতে পারবেন না।

চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ৩৫-৪০ টাকা। আর রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। এছাড়া চামড়ার দরপতন ঠেকাতে ঈদের তিনদিন আগে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ঈদের দিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামও দিতে চাইছিলেন না। চামড়া দেখে তারা নিজেরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছিলেন। ক্রেতা-বিক্রেতার কোন দরকষাকষি দেখা যায়নি। এক রকম নিজেদের নির্ধারণ করে দেয়া দামেই চামড়া কিনছিলেন ব্যবসায়ীরা। চামড়া নিতে তাদের খুব একটা আগ্রহও দেখা যায়নি। মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে। আর বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। ছাগলের চামড়ার দাম দেয়া হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফরসহ সাতজন ব্যক্তি একসঙ্গে একটি গরু কোরবানি দেন। আবু জাফর বলেন, আমাদের গরুটার দাম ছিল ৯০ হাজার টাকা। মাংস হয়েছে চার মণ। চামড়ার দাম ২০০ টাকা। এ দামেও চামড়া কিনছিলেন না ব্যবসায়ী। এক রকম জোর করেই তাকে চামড়াটা দেওয়া হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাঁচ টাকাতেও খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে।

এদিকে, দর দামে না হলে প্রকৃত ব্যবসায়ী চলে যাওয়ার পর কোথাও কোথাও সামান্য কিছু দাম দেশি দিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে দেখা গেছে। কিন্তু সেসব চামড়া আর কেনা দামেও তারা বিক্রি করতে পারেননি। এতে তারা লোকসানে পড়েন। রবিবার সকালে রাজশাহী নগরীর আই-বাঁধ এলাকায় কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ীকে প্রায় দেড় হাজার গরু-ছাগলের চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে দেখা গেছে।

এসব ব্যবসায়ীরা জানান, তারা রাজশাহীর বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে চামড়া কিনেছেন। তারপর বিক্রির জন্য চামড়া রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় আড়তে নিয়ে যান। কিন্তু তারা যে দামে কিনেছেন তার তিন ভাগের এক ভাগও দাম বলা হয়নি। এসব চামড়া তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করতে বলা হয়। কিন্তু তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, কোথাও চামড়ার চাহিদা নেই। তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামও পাবার সম্ভাবনা নেই। তাই ক্ষোভে তারা এসব চামড়া নদীতে ফেলে দিচ্ছেন।

রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আমাদের বকেয়া টাকা পড়ে আছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। করোনার কারণে হাতেও টাকা নেই। সরকার কমিয়ে দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে সেই দামেও চামড়া কেনার টাকা নেই। ফলে কম দামে তারা চামড়া কিনেছেন।

তিনি জানান, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নিজেরা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঠান না। তারা কেনার পর সেই চামড়া আবার প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করেন। কিন্তু এবার তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের। এ কারণে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, কোরবানির আগে জেলায় গরু-মহিষ ছিল প্রায় এক লাখ। আর ছাগল ছিল দুই লাখ ২৮ হাজার। অন্যান্য পশু ছিল ৪২ হাজার। সব মিলে কোরবানির জন্য পশু ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার। জেলায় আড়াই লাখের মতো পশু কোরবানি হওয়ার কথা। তবে প্রকৃত হিসাবটা এখনও প্রস্তুত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews