ভোলার রাজাপুরে সালাউদ্দিন মীর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (৩ মার্চ) বিকালে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কাঁচামাল বিক্রেতা সালাউদ্দিন মীর (৪৫) বিবাহিত ও ২ সন্তানের জনক। তিনি রাজাপুরের জনতা বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করেন।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, সদর উপজেলার কন্দকপুর গ্রামের দাদির সাথে থাকতো স্থানীয় কারিমিয়া নুরানী মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। তার রিকশাচালক বাবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নোয়াখালীতে বসবাস করেন। দাদির অনুপস্থিতিতে বুধবার দুপুর ১টায় প্রতিবেশী সালাউদ্দিন মীর পানি খাওয়ার জন্য ওই ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। চিৎকার শুনে শিশুটির দাদিসহ প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ উদ্দিন শোভন জানান, রোগীকে সুস্থ করার জন্য সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার এস আই রঞ্জিত সরকার। খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসে রোগীর অবস্থা জেনেছেন। পুলিশের ২টি টিম আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস সালাম জানান, স্থানীয়রা অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটকের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।