সোমেন সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৭০টি সুপারি নিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসেন সাজ্জাদ হোসেন। খোসা ছাড়ানোর পর ২০টির ভেতর সুপারি পাওয়া গেলেও বাকিগুলোতে মিলেছে স্কচটেপে মোড়ানো ইয়াবা বড়ি।পান খাওয়ার অন্যতম উপাদান সুপারি। খোসা ছাড়ানোর পর ভেতরে থাকা শক্ত অংশটি খাওয়া হয় পানের সঙ্গে। মাদক কারবারিরা ইয়াবা চোরাচালানে এবার বেছে নিয়েছে সুপারি। খালি চোখে দেখলে সুপারি মনে হলেও ভেতরে আছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা।সুপারি কেটে ভেতরে থাকা অংশটি ফেলে দিয়ে খোসা আলাদা করা হয়েছে। তারপর প্লাস্টিকের ভেতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে পেঁচানো হয়েছে স্কচটেপ দিয়ে। খোসা জোড়া দিয়ে আবার তৈরি করা হয়েছে হুবহু সুপারি।
৫০টি সুপারির প্রতিটিতে ১৫০টি করে ইয়াবা ঢুকিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনছিল ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন। রাজধানীর বিজয়নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে ইয়াবা এনে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতো সে।গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার বলেন, তারা অনেক চালাক। নকলের পাশাপাশি আসল সুপারিও রেখেছে যাতে বোঝা না যায়। সীমান্ত থেকে এসব নিয়ে আসা হচ্ছে। গোয়েন্দারা বলছেন, তাদের চোখ ফাঁকি দিতে একের পর এক কৌশল পাল্টাচ্ছে মাদক কারবারিরা।মানস কুমার পোদ্দার আরও বলেন, তারা আমাদের চোখ এড়ানোর জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
সুপারির ভেতরে ইয়াবা পাচার সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।