ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের মধ্যে মাস্ক ছাড়াই একাধিকবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে অংশ নিয়েছেন তিনি মাস্ক ছাড়াই।
বিবিসি জানায়, সাংবিধানিক পরিবর্তন নিয়ে ওই গণভোটে ভোট দেন পুতিন। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার ভোট দেয়ার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এসময় অন্যান্যদের মুখে মাস্ক থাকলেও পুতিনের মুখে মাস্ক ছিলো না। এমনকি গ্লাভসও ছিলো না তার হাতে।
সংবিধান পরিবর্তনের জন্য এই গণভোট আয়োজন করা হয়। এর পক্ষে ভোট পড়লে প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
মস্কোতে ভোটকেন্দ্রের মতো জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ফলে মাস্ক না পরে রুশ প্রেসিডেন্ট স্পষ্টতই করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছেন।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কখনো মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। তবে মার্চ মাসে মস্কোতে একটি করোনা হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি সুরক্ষা স্যুটে নিজেকে পুরোপুরি আবৃত করে রেখেছিলেন।
তবে পুতিন যখন ওই হাসপাতালের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তখন তাদের কারোর মুখেই মাস্ক ছিলো না। এক সপ্তাহ পরে হাসপাতাল প্রধান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন আইসোলেশনে চলে যান।
আইসোলেশন থেকে ফিরেও মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে রুশ প্রেসিডেন্টকে। অনেকের প্রশ্ন, মাস্ক পরতে পুতিনের এতো অনীহা কেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, জনসম্মুখে পুতিনের ব্যক্তিত্বকে সাহসিকতাপূর্ণ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। যেমন খালি গায়ে তার ঘোড়ায় চড়ার ছবি থেকে মানুষের ধারণা, তিনি তার পৌরুষ প্রকাশ করতে চান। এতে মুখে মাস্ক পরাকে তার দুর্বলতা হিসেবে দেখা হতে পারে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে রাশিয়া। আক্রান্তের তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে সাড়ে নয় হাজারের বেশি লোক।