পুলিশ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীর ভূমিকায়
এদের কারণেই পুরো ডিপার্টমেন্টের বদনাম । নিহতের স্ত্রী জানান, রাত ২টার দিকে এলাকার তিন দুর্বৃত্ত রফিক, ইলিয়াস ও রাকিব তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশও তাদের সঙ্গে ছিল। তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। সকালে তার লাশ পান। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। এলাকাবাসী জানায়, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রফিক, ইলিয়াস ও রাকিব মাদক কারবারে জড়িত। তারাই রবিউলকে হত্যা করেছে। নিহতের বোন মাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য আমেনা বেগম জানান, তুচ্ছ একটি ঘটনায় রবিউলসহ চারজনের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় একটি মারামারির মামলা হয়। শুক্রবার রাত ২টার দিকে কালুখালী থানার এসআই ফজলুলসহ তিন পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তার ভাইয়ের স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপর তার দুই ভাই রবিউল ও আকতারকে ধরে নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়। আকতার পালিয়ে বাঁচলেও রবিউলকে হত্যা করা হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের তিনটি শিশুসন্তান এতিম হয়ে গেল। ওদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। এদিকে শনিবার সকালে এসআই ফজলুলসহ তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ওই সময় এলাকাবাসী ফজলুল ও স্থানীয় ইউসুফ মেম্বারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিচার দাবি করেন। এছাড়াও পুলিশের ওপর উত্তেজিত হতে দেখা গেছে স্থানীয়দের। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী থানার ওসি কামরুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। ব্যর্থ হয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেন। পরে ১১টার দিকে রাজবাড়ী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের তিন সহকর্মীকে মুক্ত করে। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসীদের দাবি, সাম্প্রতিককালে মাজবাড়ি ইউনিয়ন এলাকায় মাদক ব্যবসা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। নিহত রবিউলসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায় বাধা দিয়েছিলেন। এ কারণে তাকে অকালে প্রাণ হারাতে হলো।