রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুলে দেখা গেছে বেশী ভাগেই নিম্ন আয়ের মানুষ ঝুকি নিয়ে ঘুরছেন । তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, কি করব ঘরে খাবার নেই কাল দিন বাদে কিস্তির টাকা কিভাবে দিমু তাই ঘর ছেড়ে পেটের দারে বাহিরে বের হয়েছি যদি একটা কাজ পাই।
এ দিকে রংপুর নগরীর চকবাজার এলাকায় রিকশাচালক শামসুল হক (২৬) লকডাউন পরিস্থিতিতে পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে শহীদ মিয়া বললেন, ঘরত বউ ও ৪ বছরের ছাওয়া আছে। হামার করার কিছু নাই। ইসক্যা না চালাইলে খামো কি ?খাবার ব্যবস্থা করি দ্যান ইসক্যা চালা বন্ধ করি দিম। মাসুদের মত অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে লকডাউনের তৃতীয় দিনে রিক্সা-অটো রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মত রংপুরেও সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, প্রতিষ্ঠানসহ শপিংমল ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেয়া হয়েছে লকডাউন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের রিক্সা, ভ্যানের চাকা না ঘুরলে চুলোয় ভাতের হাড়ি উঠবে না তারাও পরিবার আর আয় নিয়ে চিন্তিত।
রংপুর মহানগরীর শালবন, মিস্ত্রীপাড়া, ফায়ার সার্ভিস রোড, জুম্মাপাড়া, মুন্সিপাড়া, গুপ্তপাড়া, কামাল কাছনা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রিকশা, ভ্যান ও অটো চালকরা সামান্য আয়ের আশায় রাস্তায় বের হয়েছেন। দিনমজুর ও শ্রমিকরা আছেন বাইরে। তবে উপস্থিতির দিক থেকে সমাগম কম। নিম্ন আয়ের এসব মানুষ করোনার ঝুঁকি নিয়ে জীবীকার তাগিদে শহরের প্রধান সড়ক ও মোড় এড়িয়ে অলিগলি ছুটছেন। কারণ প্রধান সড়কে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরে পড়লে নাজেহাল হতে হবে।
লকডাউনের তৃতীয় দিন রংপুর নগরীর বিভিন্ন সড়কে সীমিত আকারে রিক্সা-অটোর পাশাপাশি চলাচল করছে জরুরী সেবায় নিয়োজিত পরিবহনগুলো। খোলা রয়েছে ফার্মেসি ও কাঁচা বাজার এবং খাবার দোকান। এসব দোকানেও খুব একটা ভিড় নেই।
রংপুরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গঠিত নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, সচেতনতার অভাব থেকেই মানুষজন এখনো বাহিরে চলাফেরা করছে। এ ধরণের চলাফেরাও ঝুঁকিপূর্ণ। সবাই যদি নিয়ম মেনে কিছুদিন সঙ্গরোধে থাকেন তবেই করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্বস্তি মিলবে।