পোরশা নওগাঁ প্রতিনিধি:
চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত পঞ্চম দফা তফসিল মোতাবেক নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছয় ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া হলেও বসে নেই চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারন সদস্য প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে নিজ দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদিন দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সকাল থেকে রাতবধী কর্মী সম্মেলন, গণ-সংযোগ, সাধারন মানুষের সাথে কুশল বিনিময়, সালাম আদান-প্রদান ও বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নানা শ্রেণি পেশার জনগনের কাছে তাদের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছেন ও দোয়া চাচ্ছেন। এছাড়াও তারা নির্বাচিত হলে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন এলাকাবাসীর কাছে। পঞ্চম দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ না পেয়েও যারা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা হলেন ১নং নিতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এনামুল হক, সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাদেকুল ইসলাম ও সানাউল্লাহ্ মন্ডল, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত আবু বক্কার সিদ্দিক। ২নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফজলুল হক শাহ্ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শাহ্ মাহবুব চৌধুরী ও মতিউর রহমান শাহ্, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত ডা: মোত্তালেব শাহ্, ৩নং ছাওড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শফিকুল ইসলাম, সতন্ত্র প্রার্থী বুলবুল আহম্মেদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত আবুল কাশেম। ৪নং গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিছুর রহমান, সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ফেরদাউস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত মোজাম্মেলর হক মাস্টার। ৫নং ঘাটনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জালাল উদ্দিন সরকার, মোজাফ্ফর হোসেন, সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আবু হোসেন বাবু, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান। ৬নং মশিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শাহাজাহান আলী, সতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বকুল, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত ডা: লুৎফর রহমান। অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারন সদস্য পদের প্রার্থীরা তাদের প্রাচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আজ ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২০ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্ধের পর নির্ধারিত হবে কোন প্রার্থী মাঠে থাকবে আর কোন প্রার্থী মাঠ ছাড়বে।