নাহিদ উল ইসলাম পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পোরশায় আঃ বারি নামে এক প্রধান শিক্ষক, সভাপতির সাক্ষর জালিয়াতি করে।
অত্র কালাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, নিতপুর শাখা, পোরশা, নওগাঁর। মেয়াদ আমানত হিসাব নম্বর ০২০০০১৪৮৩১৪৫৮ (ইউজ) হিসাব খোলা ছিল।
উক্ত হিসাব নম্বরে এককালীন ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা জমা ছিল। গত ২৭/০৭/২০২১ তারিখে ব্যাংকে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় যে, আসামী মোঃ আব্দুল বারী (৫৪) পিতা মৃতঃ হাজী মোঃ মোস্তফা হোসেন, মাতা-মোসাঃ বিলকিস বেগম, সাং-দিঘিরহাট মিরাপাড়া, ডাকঃ নিশ্চিন্তপুর, থানা-সাপাহার, জেলা-নওগাঁ। ও প্রধান শিক্ষক (স্থায়ী ভাবে বরখাস্তকৃত),
কালাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়,পোরশা,নওগাঁ। অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া জানা স্বত্বেও সেটির অপব্যাবহার করিয়া অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করিয়া উক্ত টাকা গত ২২/০১/২০২০ তারিখে উত্তোলন করেন।
অথচ আসামী জাল জেনে জাল সাক্ষর ব্যবহার করে চিটিং করে এরুপ বেআইনী কার্যক্রম করেন। এমনি ভাবে স্কুলের জেএসসি নিবন্ধন, এসএসসির ফরম পূরণ এবং উপবৃত্তির নামে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে বেআইনী ভাবে অর্থ গ্রহণ, স্কুলের বাগান লীজ, পুকুর লীজের অর্থ গ্রহণ করে স্কুলের একাউন্টে জমা প্রদান না করে,আত্মসাৎ করেছেন। যাহা গত কিছুদিন আগে সোসাল মিডিয়া প্রকাশিত হয়। যাহা সম্পূর্ণ সরকারী স্বার্থ বিধি বহির্ভুত ও আইন পরিপন্থি।
সংবাদ সুত্রে জানা যায়, মোঃ আবু সাঈদ (৪২), পিতা মৃতঃ আলতাব হোসেন, সাং-দুয়ারপাল, ডাকঃ কালাইবাড়ী,থানা-পোরশা, জেলা-নওগাঁ।ও সভাপতি, কালাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়,পোরশা,নওগাঁ। থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিছে।
সভাপতির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আসামী আমার স্বাক্ষর জাল করে এরুপ বেআইনী কার্যক্রম দিনের পর দিন করে আসছেন। আসামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসামী আমার কথায় কর্ণপাত না করে,বরং আমাকে ও কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান। এক্ষনে আসামীর এহেন বিশ্বাস ঘাতকতায় চরম হয়রানী ও বিদ্যালয়ের অর্থ সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে সাক্ষী ১। হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৯) প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), ২। আবুল কালাম আজাদ (৪২) সহকারী শিক্ষক ৩। এসাউল হক (৩৬) সহকারী শিক্ষক, কালাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, ডাকঃ কালাইবাড়ী, সর্ব থানা-পোরশা, জেলা-নওগাঁ। গন সহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীদেরকে জানাইলে তাহারা আমাকে আইনের আশ্রয় লওয়ার পরামর্শ দেন। একারনে এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইলেও। অত্র এজাহারে সঙ্গে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির প্রমানাদি স্বরুপ সকল কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করিয়া এজহার দায়ের করেছি।
সংবাদ সুত্রে আরও জানা যায়,আবুল কাশেম প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায়,বরখাস্ত হয়েছিলেন ও জিয়ার মামলায় প্রায় ৩/৪ বছর আগে জেল খেটেছেন, সাপাহার, নওগাঁয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পোরশা থানা ইনচার্জ শফিউল আজম খাঁন জানান,আজ সকাল ১০টায় নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।