সমাবেশে উপস্থিত ৫ হাজারের অধিক সুবিধাভোগীদের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন প্রশ্ন করেন আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেবেন কিনা হাত উঁচু করে সমস্বরে সবাই ‘ হ্যাঁ’ সূচক জবাব প্রদান করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোশারফ হোসেন, মোরেলগঞ্জ পৌর মেয়র এ্যাড. এস.এম মনিরুল হক তালুকদার, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষ নিয়ে পরিকল্পনা করেন তাদের কল্যাণে কাজ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি, এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সবাইকে সেই কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার তিনি মানুষকে ভালো বাসেন, মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য তাদের পাশে সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দেন। এটি অন্য কোনো সরকার করেনি। যে সরকার এই কাজটি করে, অবশ্যই তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারকে আগামীতে আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাহলে তিনি সারাদেশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাবেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও প্রায় ৬ হাজার উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি আরও বলেন, বাংলাদেশ কে নিয়ে ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে ও ১৯৭৫ এর সাথে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল তারা আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলের জন্য নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ১৯৭৫ সাল আর ২০২৩ সাল এক না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশ আর এখন ২০২৩ সালের বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। শেখ হাসিনা আজ আমাদের বিশে^ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না । নতুন প্রজন্মের জন্য উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শেখ হাসিনার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। #