এর আগে তুরস্কের প্রশাসনিক আদালত বিশ্বখ্যাত সাংস্কৃতিক স্থাপনা হাজিয়া সোফিয়ার জাদুঘর মর্যাদা নাকচ করে রায় দেয়ার মধ্য দিয়ে স্থাপনাটির মসজিদে পরিণত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়। তবে ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ এবং বিশ্বের ধর্মীয় নেতারা তুর্কি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
দেড় হাজার বছর পূর্বে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধানতম গির্জা হিসেবে হাজিয়া সোফিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক শতাব্দী পর অটোমান শাসকেরা এটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করেন। এরপর ১৯৩৪ সালে এটি জাদুঘরে পরিণত হয়। এখন এটি ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত।
কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। তুরস্কের ইসলামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার দাবি জানালেও ধর্মনিরপেক্ষ লোকজন এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।
বিশ্বব্যাপী তুর্কি সরকারের এমন পদক্ষেপ গ্রহণের সমালোচনা করছেন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা। তুরস্কের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই সেখানে নামাজ আয়োজনের ঘেষণা দেয়া হয়েছে এবং সেই নামাজের জামাত তুরস্কের প্রায় সব মূলধারার সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।