তবে দুটি শরীর এক হলেও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না সৃজিত-মিথিলার। দুজনের অতীতের সব প্রেম নিয়ে বারংবার তোপের মুখে পড়তে হয় তাদের। অবশ্য সেসব সমালোচনা গায়ে মাখতে চান না সৃজিত-মিথিলা।
যেসব কারণে বারবার সমালোচনা শুনতে হয় সৃজিত-মিথিলাকে; এমন প্রশ্ন যদি তাদের অনুরাগীদের করা হয়, তারাও বলবে, অতীতের প্রেমগুলো যেন ভয়ঙ্কর বাধা এ দম্পতির।
চলুন জেনে নেয়া যাক, অতীতে সৃজিত-মিথিলা কার কার প্রেমে মজেছিলেন। তবে আগেই বলা রাখা ভালো, মিথিলা তার প্রথম স্বামী তাহসানকে বিয়ের আগে দীর্ঘ দুই বছর প্রেম করেছিলেন।
সময়টা ২০০৪ সাল। ওই সময় বাংলাদেশি অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী মিথিলার জীবনের প্রথম প্রেম সামনে আসে তার প্রথম স্বামী গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানের নাম। মিথিলা তখন ২৪ বছরের তরুণী। ব্যক্তিগত একটা কাজে এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে সংগীতশিল্পী হয়ে ওঠা তাহসানের কণ্ঠে গানও শোনেন মিথিলা।
মূলত ওইদিন থেকে সখ্যতা গড়ে উঠে তাহসান-মিথিলার। এরপর চিঠির মাধ্যমে দুজনের প্রেম। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা প্রেম পরিণয়ে রূপ নেয় ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট। বিয়ে করেন তাহসান-মিথিলা।
এরপর ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের সংসার আলো করে আসে কন্যাসন্তান আইরা। সুখের এ সংসারের ইতি ঘটে ২০১৭ সালে। একদিন হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই তারকা দম্পতি।
এরপর গুঞ্জন উঠে অভিনেতা জন কবিরের সঙ্গে মিথিলার প্রেমের। এও শোনা যায়, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরেই ঘর ভেঙেছিল তাহসান-মিথিলার। পরে অবশ্য এর নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এরপর আবারো নতুন প্রেমিককে জড়িয়ে আলোচনায় আসেন মিথিলা। নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে তার নাম ফোকাস হতে থাকে। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে তোলা মিথিলার দুটি ঘনিষ্ঠ ছবিও ফেসবুকে ভেসে উঠে। পরে অবশ্য সৃজিতকে বিয়ে করে বিষয়টি আলোচনা থেকে সরে যায়।
এরপরই মূলত মিথিলার জীবনে চতুর্থ প্রেমিক থেকে স্বামী হিসেবে ঠাঁই পান সৃজিত।
অপরদিকে কলকাতার প্রতিভাবান পরিচালক, মিথিলার স্বামী সৃজিত মুখার্জি। ওই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তাকে ‘প্রেমিক’ হিসেবেই চিনেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সৃজিতের একাধিক প্রেমের খবর প্রকাশ হয়েছে কলকাতার গণমাধ্যমগুলোতে। ৪২ বছর বয়সি সৃজিত মিথিলার আগে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু সে সংসার বেশিদিন টেকেনি।
অবশেষে সৃজিতের সপ্তম প্রেমিকা হিসেবে নাম উঠে আসে বাংলাদেশের অভিনেত্রী মিথিলার। আর তাকেই শেষমেশ বিয়ে করেন সৃজিত।
আরো যাদের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন সৃজিত
ঘটনা ২০১৩ সালের। ‘মিসর রহস্য’ ও ২০১৪ সালে ‘জাতিস্মর’ সিনেমা নির্মাণ করেন সৃজিত। টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি অভিনয় করেন সে দুইটি সিনেমায়। এসব সিনেমা করতে গিয়ে স্বস্তিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন সৃজিত।
এরপর তার জীবনে আসে বাংলাদেশের শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। হুট করেই কলকাতায় ছবিতে অভিনয় শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে কলকাতার ‘রাজকাহিনি’ ছবিতে অভিনয় করেন জয়া। এ ছবির নির্মাতা ছিলেন সৃজিত। ছবিটি করতে গিয়েই জয়ার সঙ্গে সৃজিতের প্রেমের গুঞ্জন ওঠে।
এরপর ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে প্রকাশিত হয়, ভারতের সংগীতশিল্পী মধুবন্তী বাগচীর সঙ্গে সৃজিতের প্রেম! তাদের প্রেম নিয়ে মিডিয়া বেশ কিছুদিন সরব থাকলেও হুট করে নীরব হয়ে যায়। মধুবন্তী বাগচীও পরে বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এরপর সৃজিত মুখার্জির প্রেমে মজেন কলকাতার আরেক নায়িকা সায়ন্তনী গুহ ঠাকুর। প্রথমে তাকে নিয়ে সৃজিত ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় অভিনয় করান। সেই থেকে পরিচালকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন সায়ন্তনী।
এরপর অবশ্য টালিপাড়ার আরেক নায়িকা পায়েলের প্রেমে মজেছিলেন ‘প্রেম কুমার’ সৃজিত। টালিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকারের সঙ্গেও নাকি প্রেম ছিলো তার। এ নিয়েও কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলোতে কম আলোচনা হয়নি। এক পর্যায়ে সম্পর্কের বিচ্ছেদও হয় তাদের।
কলকাতার আরেক অভিনেত্রী ও মডেল রিতাভারি। সৃজিতের সঙ্গে রিতাভরির প্রেম টালিউড পাড়ায় বেশ আলোচনায় ছিল। তাদের অনেক ঘনিষ্ঠতার খবরও কলকাতার গণমাধ্যমে উঠে এসেছিল। তবে সবকিছুই ধামাচাপা পড়ে তখনই, যখন মিথিলার সঙ্গে সংসার পাতেন সৃজিত।