ডেস্কঃ
ফরিদপুরে বাড়িতে ডাকাতি ও ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা ওই বৃদ্ধের মুখে গেঞ্জির কাপড় ঢুকিয়ে ও হাত এবং পা বেঁধে ফেলে রাখায় তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলেন অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধের মেয়ে। রবিবার রাত ১১টার থেকে ১২টার মধ্যে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ীর সদস্যদের অভিযোগ ডাকাতদলের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা, দুই ভরি ওজনের সোনার অলংকার, বাড়ির জমির দলিল ও জাতীয় আইডি কার্ড নিয়ে যায়। নিহত ওই বৃদ্ধের নাম আবুল খাঁ ওরফে সিরাজুল ইসলাম (৭০)। তিনি মদনদিয়া গ্রামের মৃত মাসিক খাঁর ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মচারি। তিনি সাত মেয়ে ও দুই ছেলের বাবা। তার এক ছেলে দেড় বছর আগে মারা গেছেন। ছয় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। অবিবাহিত ছোট মেয়ে মৌসুমী আক্তারকে (২৮) নিয়ে তিনি বাড়িতে বসবাস করতেন। আবুল খাঁ’র মেয়ে মৌসুমী আক্তার জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ও তার বাবাক হাত পা বেঁধে মুখের মধ্যে কাপড় গুজে ফেলে রাখে। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ও তার বাবাক হাত পা বেঁধে মুখের মধ্যে কাপড় গুজে ফেলে রাখে। এরপর তারা ৩০ হাজার টাকা, দুই ভড়ি ওজনের স্বর্ণালংকার, বাড়ির দলিল ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যায়। মৌসুমী আরও জানান, তার বৃদ্ধ পিতার মুখে গেঞ্জির কাপড় ঢুকানোয় এবং হাতপা ও মুখ বেঁধে ফেলায় এক পর্যায়ে তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান। তিনি ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত ও ডাকাতদলকে খুঁজে বের করার আশ্বাস দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ডাকাতির আড়ালে অন্য কোন ঘটনা থাকতে পারে। বাড়ি থেকে মূল্যবান দলিলপত্র নিয়ে যাওয়ায় তারা এটিকে শুধু ডাকাতিই নয়, জায়গা জমি দখলের পাঁয়তারা বলেও মনে করছেন। তাদের দাবী স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল জমি দখলের জন্য হয়তো বাড়ীর দলিল গুলো নিয়ে গেছে। কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, বৃদ্ধের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply