শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জনতার প্রত্যাশা’ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ওয়াদা করছি, মুজিববর্ষের মধ্যে আরো এক খুনিকে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। এটা এখন জনগণেরও প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছয়জনকে এনে শাস্তির সম্মুখীন করেছি। একজন আগেই মারা গেছেন।
মোমেন বলেন, বাকি ৫ জনের মধ্যে… আই মাস্ট সে, আমাদের প্রার্থনা ছিল; মুজিববর্ষের মধ্যে অ্যাট লিস্ট একজনকে এনে বিচারের সম্মুখীন করা।
রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে আনার প্রক্রিয়া ‘বেশ এগিয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, পাঁচজনের মধ্যে দুজনের ঠিকানা আমরা জানি। এটার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কিছুটা অগ্রসর হয়েছি। আগে তো কথাই শুনতে চায়নি, এখন কথা শুনছে।
রাশেদ চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন পেয়েছিল, এখন সেটা রিভিউ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, আরেকজনকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পারব।
তিনি বলেন, আরেকজনের (নূর চৌধুরী) বিরুদ্ধে আমরা কেস করেছিলাম। কেসে আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু যে দেশে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, সে দেশে তারা পাঠাবে না তাকে… সে কারণে তারা এখনো আটকে রেখেছে।
গত ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সবশেষ গত এপ্রিলে পলাতক আবদুল মাজেদ ধরা পড়লে তারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে দণ্ডিত পাঁচ খুনি- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে আর নূর চৌধুরীর কানাডায় অবস্থান করছেন।