বিপিএলে দলগুলির ভরসার জায়গা জুড়ে থাকেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। দেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও থাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরপর তরুণ ও উঠতি ক্রিকেটারদের সুযোগ থাকে সামান্যই। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকায় তাই তরুণদের জন্য বড় সুযোগ বলে মনে করেন বিসিবি পরিচালক, বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও এই টুর্নামেন্টে বেক্সিমকো ঢাকা দলের কোচ খালেদ মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পেয়েছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ ক্রিকেটার। গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেকে যেমন আছেন এই তালিকায়, আছেন উঠতি আরও বেশ কজন ক্রিকেটার। ড্রাফট শেষে খালেদ মাহমুদ বললেন, এই আসর তরুণদের জন্য হতে পারে নিজেদের মেলে ধরার বড় জায়গা। “ আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ, সব তরুণ ক্রিকেটারের জন্য। বিপিএলে হয়ত আমাদের অনেক ক্রিকেটার নিজের পজিশনে ব্যাট করতে পারে না বা ডেথ ওভারে কিংবা ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারে না, যেহেতু বিদেশি ক্রিকেটার অনেক থাকে।” “ টপ অর্ডারে যারা ব্যাট করবেৃ চার-পাঁচে যারা খেলবে বা ম্যাচ শেষ করবে, তারা কেমন করে, এখানে এসব দেখা যাবে। বোলাররাও এখান থেকে শিখবে নতুন বলে বা ডেথ ওভারে কিভাবে বল করতে হয়। তাদেরকেও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে যে বিদেশি ক্রিকেটার নেই। তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ।” বিপিএলের বাইরে গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি হয়েছে। এবার বিপিএল অনিশ্চিত, হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি। খালেদ মাহমুদের বিশ্বাস, স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে এরকম টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলে টি-টোয়েন্টির জন্য কার্যকর ক্রিকেটার উঠে আসবে। বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ, নিজেই যখন ব্যাট হাতে।বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ, নিজেই যখন ব্যাট হাতে।“এখান থেকে আমরা বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার হয়তো খুঁজে পাব। অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে আমরা দেখতে পারব এখানে, যারা হয়তো নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে। এটা আমাদের জন্য বড় প্লাস পয়েন্ট হবে। এই ধরনের লোকাল টুর্নামেন্ট আমরা নিয়মিত করতে পারলে এই ফরম্যাটেও ভালো ক্রিকেটার বের করে আনতে পারব।” ড্রাফট হয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি শুরুর তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। শুরু হতে পারে এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ৫ দলের স্কোয়াড:
বেক্সিমকো ঢাকা :
মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি।
জেমকন খুলনা :
সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল আমিন হোসেন, এনামুল হক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরি, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী :
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদি হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, রনি তালুকদার, আনিসুল ইসলাম ইমন, রেজাউর রহমান রাজা, জাকের আলি, রকিবুল হাসান, মুকিদুল ইসলাম, সানজামুল ইসলাম।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম :
মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মুমিনুল হক, রকিবুল হাসান (জুনিয়র), সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদি হাসান।
ফরচুন বরিশাল :
তামিম ইকবাল, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ চৌধুরি, তৌহিদ হৃদয়, তানভির ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম, সোহরাওয়ার্দী শুভ।