আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ভারতের উত্তরাখন্ডে তিন দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টি ও বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে এখনো নিখোঁজ হয়েছে পাঁচজন। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপকক্ষ।
জানা গেছে,দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বন্যায় বাড়িঘর ও সেতুসহ বিপুলসংখ্যক স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযানের জন্য তারা তিনটি (সেনা) হেলিকপ্টার মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া বন্যায় মৃতদের পরিবারকে চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বন্যায় যারা ঘর-বাড়ি হারিয়েছে তাদের ১ লাভ ৯০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তৃতীয় দিনের মতো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় হেলিকপ্টারে চড়ে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। দামির সঙ্গে পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়া অবনতির দিকে যাচ্ছিল। রাজ্যটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। ফলে পাহাড়ি রাজ্যটিতে বন্যার তোড়ে সড়ক, ভবন ও সেতু ভাঙ্গন ও তলিয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যও দেখা গেছে।
ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পর্যটন শহর নৈনীতালের। বন্যায় মৃতদের মধ্যে মঙ্গলবার শুধু নৈনীতালেই ভবনধসে প্রাণ গেছে সাতজনের। উধাম সিংনগরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন একজন। এদিন প্রাণ গেছে মোট ১১ জনের। সোমবার নেপালের তিনজন শ্রমিকসহ মারা গেছেন পাঁচজন।
জানা গেছে, বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় দুর্যোগ প্রশমন বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সমন্বিতভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।