আমির হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন মোঃ আবদুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবক। ইসলাম গ্রহনের পূর্বে তার নাম ছিল জয়ন্ত দাস। উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামের জিতেন দাসের ছেলে তিনি। গত শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালি ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের হাজী বাড়ী জামে মসজিদের খতিব তাকে কালেমা পাঠ করান। এরপর ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন তিনি।
নওমুসলিম আবদুল্লাহ বলেন, অনেক আগ থেকেই আমি ইসলাম ধর্মকে ভালবাসতাম। সময় সুযোগের অভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহনে বিলম্ব হয়েছে। আল্লাহর রহমতে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি ।
এ কারণে আমার সামাজিক ও পারিবারিক সকল বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন আমার আল্লাহ ও রাসুল ছাড়া আর কেউ নেই। ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের সাহায্য সহযোগিতা আশ্বাস পেয়েছি।
কিন্তু আমি কোন ধন সম্পদের লোভে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি নাই। এরপরেও খুশি হয়ে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তা গ্রহনে আমার কোন আপত্তি নেই। ইসলাম গ্রহনের কারণে আমার স্ত্রী মুক্তা রানী ও ৬ মাস বয়সের ছেলে দুর্জয় এবং ৬ বছর বয়সী মেয়ে শ্রাবন্তী আমাকে ছেড়ে তাঁদের মামা বাড়ী আমতলী উপজেলার হারপাংগাশিয়া ইউনিয়নের মধ্যম তারিগাথা গ্রামে চলে গেছে।
সম্পর্ক নেই বাবা-মা,ভাই-বোনদের সাথেও। এতে আমার মনে কোন কষ্ট নেই। আমি আমার আল্লাহ ও রাসুলকে পেয়েছি,এতেই আমি সন্তোষ্ট।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম গ্রহনের আগে কলাপাড়ায় উপজেলার গিলাতলা বাজারে ৩-৪ বছর পর্যন্ত একটি সেলুনের ব্যবসা করতাম আমি। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় আমার সেই সেলুনটি বন্ধ রয়েছে।
ফলে আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন কোন ব্যবসা-বানিজ্য করব বলে চিন্তা-ভাবনা করছি। কিন্তু হাতে কোন টাকা-পয়সা নেই। এজন্য দুশ্চিন্তায় থাকলেও আল্লাহর উপর ভরসা রেখে দিনাতিপাত করছি।
এখন কোরআন হাদিস শিক্ষার জন্য লোন্দা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছি। অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় কোনভাবে দিন কাটছে আমার।