রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকা থেকে অর্থ আত্মসাৎকৃত ১৬ লক্ষ টাকাসহ আত্মসাৎকারি আব্দুল মালেক (৩৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত্রী ১০ টার দিকে বাঘা থানাধীন পাকুড়িয়া এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-১০, তারিখঃ ০৬/০২/২০২৪ ইং। ধারা- ৪০৮/৪২০ পেনাল কোড এর এজাহার নামীয় একমাত্র পলাতক আসামী মোঃ আব্দুল মালেক কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল মালেক রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার মোঃ আঃ কাদের বক্স এর ছেলে।
র্যাব-৫ সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ১নং আসামী মোঃ আব্দুল মালেক (৩৯), পিতা-মোঃ আঃ কাদের বক্স, সাং-পাকুরিয়া, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহী আত্মসাৎকৃত টাকাসহ ঘটনাস্থল রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন পাকুরিয়া গ্রামস্থ ধৃত আসামীর নিজ বসতবাড়ীতে অবস্থান করছে। বিষয়টি জানা মাত্রই আটককৃত ব্যক্তির বসতবাড়ীতে পৌছে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে এবং তার বাড়ী তল্লাশী করে নিজ শয়ন কক্ষে থাকা বাক্সের ভিতর হতে আত্মসাৎকৃত টাকা মোট ১৬,০০,০০০/-(ষোল লক্ষ টাকা) উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন চাষাড়া ১৪৫ বিবি রোডস্থ মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিস লিঃ এর কেয়ারটেকার হিসাবে প্রায় ১২ বছর যাবত কর্মরত ছিল। সে প্রতিষ্ঠানটি দেখাশুনা করার পাশাপাশি রাত ০৭.০০ ঘটিকার সময় ম্যানেজার ডিউটি শেষে চলে যাওয়ার সময় সমস্ত হিসাব এবং নগদ টাকা উক্ত আসামীকে বুঝাইয়া দিতো এবং পরের দিন সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় এ্যাডমিন ম্যানেজার অফিসে আসলে তার নিকট বুঝায়ে দিতো। দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বিবাদী বিশ্বস্ততার সহিত তাহার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছে। গত ইং ২৯/০১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের এ্যাডমিন ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলাম ছুটিতে যাওয়ার পর উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের হিসাবের সমস্ত টাকা এ্যাডমিন ম্যানেজার এর অনুমতি সাপেক্ষ্যে ক্যাশ হতে বুঝে নিয়ে নিজের কাছে রাখতো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দিবে বিধায় তার নিকট হতে টাকা বুঝিয়ে নেওয়া হয় নাই। গত ইং ২৯/০১/২০২৪ তারিখের ৬,৪০,৩০৯/-টাকা, গত ইং ৩০/০১/২০২৩ তারিখের ৬,৬৩,৭৫২/-টাকা এবং ৩১/০১/২০২৪ তারিখের ৬,৮৬,৮৫৪/-টাকা সর্বমোট ১৯,৯০,৯১৫/-(উনিশ লক্ষ নব্বই হাজার নয়শত পনেরো) টাকা জমা হয়। ইং ০১/০২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় প্রতিষ্ঠানের জিএম হেমায়েত হোসেন হিমেল (৪৮) আসামীর নিকট হতে টাকা বুঝায়ে নেওয়ার জন্য তাকে খোঁজাখুজি করলে বিবাদীকে খোঁজে পাওয়া যায় নাই। আসামীর ব্যবহৃত ফোন নম্বরে ফোন করলে নম্বরটি বন্ধ দেখায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায় যে, গত ইং ০১/০২/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০০.২০ ঘটিকার সময় আসামী একটি ব্যাগে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে উক্ত অর্থ অসৎ উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করে উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে বাহির হয়ে যায়।
উক্ত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।