মাসুদুল ইসলাম সবুজ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়ার্দী ইউনিয়নের কাইমের বাউলী গ্রামের সার্বজনীন কালিমন্দিরসহ ২০টি পরিবার ঘোড়াউত্রা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটেহারা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এসব পরিবারে অধিকাংশই নদী থেকে জাল টেনে কোনরকম সংসার চালান। তারা এখন ঘরবাড়ী হারিয়ে গত কয়েকদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিন বেলার মধ্যে দু-এক বেলা খেয়ে কোনরকম দিন চালাচ্ছেন।
এছাড়া তারা এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিন গেলে ভিটেহারা পরিবারগুলোর মধ্যে লিটন দাস, সজল দাস, বলরাম দাস, নিখিল দাস, উজ্জ্বল দাস, শীতল দাস, রিপন দাস, শিপন দাস, সংকর দাস, অতিন্দ্র দাস, ধীরেন দাস, শ্যামল দাস, দ্বীপক দাস, রাজলক্ষী দাস, নির্মল দাস-সহ এ পরিবারগুলো জানান, তারা ভিটেবাড়ী হারিয়ে এখন খেয়ে না খেয়ে খোলা আকাশে নিচে বৃষ্টিতে ভিজে করোনার মধ্যে কষ্টে দিন যাপন করছেন।
এছাড়া ঘোড়াউত্রা নদীবেষ্টিত আছানপুর, ঋষিপাড়া, আইনারকান্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার বাড়ীঘর হারিয়ে এখন সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামবাসীরা আরও জানান, গত কয়েক বছরে এসব গ্রামের লোকজন নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগীয় এলাকায় বিভিন্ন পেশায় গিয়ে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন।
বলিয়ার্দী ইউনিয়নের কাইমের বাউলী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও বর্তমান মন্দির কমিটির সভাপতি তাপস কান্তি দাস বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত কালীমন্দিরটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকার বাহাদুর কালীমন্দিরটি পুন:নির্মান না করে দিলে তারা কয়েকশ বছরের ঐতিহ্য কালিপূজাসহ মেলাটি বন্ধ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন। বাজিতপুর চলতি দায়িত্ব পিআইও রেজাউল করিম জানান, তাকে কেউ নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে কিছু জানাননি।