1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. towhid472@gmail.com : TOWHID AHAMMED REZA : TOWHID AHAMMED REZA
বাজেট হবে জনবান্ধব, বিনিয়োগ ও ব্যবসা অনুকূল এবং উন্নয়ন সহায়ক
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-ঢাকা মহা সড়ক অবরোধ ত্রিশাল সংস্কারের দাবীতে  বিক্ষোভ সবাইকে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়পুুরহাট জেলা প্রশাসক-সালেহীন তানভীর গাজী গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের ম্যুরাল উদ্বোধন  সৈয়দপুরে এফওএ স্কুলের ১১ শ’ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ পাঁচবিবিতে তথ্য আপা প্রকল্পের বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের খরিপ-১মৌসুমে ১০০০জন কৃষকের মাঝে পাট বীজ বিতরন যুদ্ধ দিনের স্মৃতি : বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুস সামাদ বসুনিয়া  কুড়িগ্রামে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত নান্দাইলে নিজ উঠানে স্ত্রীর সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যা পালানোর সময় ঘাতক আটক রাজশাহীতে আটক ৩৭ মাদকদ্রব্য উদ্ধার 

বাজেট হবে জনবান্ধব, বিনিয়োগ ও ব্যবসা অনুকূল এবং উন্নয়ন সহায়ক

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০, ২.০৪ পিএম
  • ৩১৭ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্কঃ

করোনার আঘাতে স্থবির অর্থনীতিতে গতি আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করলেন অর্থমন্ত্রী। চতুর্মুখী চাপের মধ্যেও এবারের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। পুরো বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে করোনাকে কেন্দ্র করে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে মেগাপ্ল্যানসহ পৃথক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, মানুষের জীবন ও জীবিকা, উভয় কূল রক্ষা করার পাশাপাশি গতানুগতিক বাজেটের ধারা থেকে সরে এসে সরকারের অগ্রাধিকারের কাঠামো পরিবর্তন করতে হয়েছে। অর্থের সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও হতে হয়েছে মানবিক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি লকডাউনে আয়হীন ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাওয়ানোর জন্য রাখতে হয়েছে অর্থ। এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেড়েছে ব্যয়ের বড় বড় অঙ্ক। ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পরও ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে। অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে ুটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী, যাতে ঢালাওভাবে ‘কালো টাকা’ সাা করার সুযোগ হবে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে যুব ও ক্রীড়া খাতের জন্য এক হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা নানাভাবে বিশ্লেষণ করেছেন এবারের বাজেট। বাস্তবায়নে আরো গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। তাঁদের মতে, ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি যেটা ধরা হয়েছে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবভিত্তিক নয় বলে মনে করছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের আরেক সন্দেহ বরাদ্দ কাজে লাগানো নিয়ে। বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে মনোযোগী হওয়ার তাগাদা দিয়েছেন তাঁরা। প্রতিবছর বাজেট প্রস্তাবের পর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া যেমন হয়ে থাকে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বাস্তবসম্মত প্রত্যাশার লিল’ বলে অভিহিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রস্তাবিত বাজেট ‘জনকল্যাণমুখী’ হলেও বাজেটে বড় ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। ব্যবসা-বাণিজ্য যেখানে স্থবির সেখানে এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব, সেই প্রশ্ন করেছে বিএনপি। মহামারির বাস্তবতায়াঁড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের নানা দিক নিয়ে সমালোচনা করেছে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। মহামারিকালের বাজেটে অসম্ভব আশায় ভর করেছেন অর্থমন্ত্রী। ক্ষতবিক্ষত অর্থনীতিকে টেনে তুলে অর্থনীতিতে গতিসঞ্চারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় স্থবির দেশের অর্থনীতি। আবাসন, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির সব খাতে বিরাজ করছে অচলাবস্থা। এই কঠিন সময়ে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের এটি দ্বিতীয় বাজেট। কঠিন এক খারাপ সময়ে ওলটপালট হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কথা বলেছে সরকারপক্ষ। মহামারী রূপ নেওয়া কভিড-১৯ এর প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষই জীবন সংহারের আশঙ্কায়। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। এবারের বাজেটটি কোনো আবেগ কিংবা উচ্চাভিলাষের বাজেট নয়। এটি হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং মানুষের জীবন রক্ষার বাজেট। আগামী বছরও ৮ শমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর দেশের মানুষের ভোগ কমে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলেরাম নজিরবিহীনভাবে পড়ে যাওয়ায় সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে অধিকসংখ্যক মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হচ্ছে ব্যাপকভাবে। মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ ঠিক রেখে ইতিমধ্যে আগামী বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূূচির (এডিপি) আকার ুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা অনুমোন করা হয়েছে। চলতি বছরের বাজেটের আকার পাঁচ লাখ এক হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা উদ্যোগ থাকছে বাজেটে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতকে। এবারের বাজেটে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজেটের অর্থায়ন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষকে খাদ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে বাজেটে থাকছে বিশেষ ঘোষণা। নতুন করে কয়েকটি শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা। আমরা আশা করি, বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অনেক বেশি সফল হবে। বাজেট হবে জনবান্ধব, বিনিয়োগ ও ব্যবসা অনুকূল এবং সর্বোপরি উন্নয়ন সহায়ক। লেখক: মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ, সাবেক চেয়ারম্যান রাজউক, উপদেষ্টা, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সভাপতি বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফ্যাকচারার এসোসিয়েশন, সদস্য এফবিসিসিআই, মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews
%d bloggers like this: