চিলমারী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উঠতি আমন ক্ষেত ও
সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডুবে থাকায় আমন ধানের গাছগুলো
নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমন শঙ্কায় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন
চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২৫৫ হেক্টর
জমিতে। যার মধ্যে ৩ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষেত উজানের ঢলের পানিতে
ডুবে গেছে।
এছাড়াও ৩০ হেক্টর সবজি ক্ষেতও ডুবে আছে পানির নিচে। তবে কৃষি বিভাগের মনগড়া
এ তথ্য মানতে নারাজ কৃষকরা। তাদের দাবি এর চেয়েও দ্বিগুণ আমন ক্ষেত পানিতে
ডুবে আছে।
রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার কৃষক শফিকুল বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করি। কিন্তু জমিতে চারা লাগানো কয়েকদিনের মধ্যে পানিতে ডুবে
যায়।
জানা গেছে, গত ১ সপ্তাহ জুড়ে উজানের ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল ডুবে যায়।
এতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিচু অঞ্চলের সব আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়।
টানা ৫/৬ দিন পানিতে ডুবে থাকায় মধ্য বয়স্ক আমনের চারা গাছ পচে নষ্ট
হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার মধ্যে তুলনামূলক উঁচু অঞ্চলের আমন ক্ষেতে চারা
গাছ দেখা গেলেও নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ ধান ক্ষেত এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে।
শুধু পানিতে ডুবেই ক্ষতি হচ্ছে না। নিচু অঞ্চলের অনেক আমন ক্ষেতে কচুরিপানা
ও নানান ধরনের আগাছা ভেসে এসেছে। ফলে পানি কমতে শুরু করলে এসব খেতের
পরিচর্যা করতেও দীর্ঘ সময় লাগবে। একইসঙ্গে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এছাড়াও
ক্ষেতের অনেক চারা গাছ পচে নষ্ট হওয়ায় আমনের উৎপাদনও কমে যাওয়ার শঙ্কা
করছেন চাষিরা।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, অনেক স্থানে আমন
ক্ষেত ডুবে আছে। যার মধ্যে কিছু বেঁচে যাবে এবং কিছু পচে নষ্ট হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..