দিনকয়েক আগে এবি ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছেন বিগ ব্যাশ লিগে খেলবেন না তিনি। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের না খেলার কথাও শোনা যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্টিভেন স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, এবারের প্রতিযোগিতায় ‘খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই’ তার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সম্প্রচার স্বত্বাধিকারী সেভেন অ্যান্ড ফক্সটেল তাদের দেশের সেরা খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় রাখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু লম্বা সময় পরিবারের বাইরে থাকায় স্মিথ, ওয়ার্নার, কামিন্স, স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউডকে না পাওয়ার শঙ্কা জন্মেছে। এরই মধ্যে স্মিথ জানিয়ে দিয়েছেন, বিগ ব্যাশে খেলার সম্ভাবনা নেই তার। কারণটা জৈব সুরক্ষা বলয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একট জায়গায় আবদ্ধ থাকায় তিনি ও অস্ট্রেলিয়ার অনেক খেলোয়াড় লম্বা সময় ধরে পরিবারের বাইরে। স্মিথ পরিবার ছাড়া সেই আগস্টে ইংল্যান্ড সফর থেকে, এরপর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলছেন আইপিএল। সেই কারণেই বিগ ব্যাশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ‘আপনাকে সত্যিটাই বলছি- কোনও সম্ভাবনা নেই।’- রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে লাইফবয়ের একটি ইভেন্টে নিউজ ক্রপের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন স্মিথ। করোনার কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে আরও কতদিন পরিবারের বাইরে থাকতে হতে পারে, জানা নেই স্মিথের, ‘জৈব সুরক্ষার মধ্যে থাকা মাত্রই শুরু হয়েছে। আমরা কেউই জানি না এটা কতদিন চলবে। এটা অনিশ্চয়তার চাদরে মোড়ানো। খোলামেলা আলোচনা চলছে কোচ, জেনারেল ম্যানেজার সঙ্গে, যারা নিশ্চিত করবেন তাদের মাথায় এইসব মানুষজন থাকছে (সামনের সিরিজ বা ম্যাচের জন্য)। এরপর অবশ্যই খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন জাগবে। লম্বা সময় ধরে বাবলের মধ্যে থাকার কারণে কারও যদি মনে হয় তার বিশ্রাম দরকার এবং তার জায়গায় অন্য কেউ এসে ভালো খেললো, তাহলে কি তারা তাদের জায়গা নিয়ে নেবে?’ তাই আলোচনার মাধ্যমে দল নির্বাচনে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্মিথ, যেখানে খেলোয়াড়রা তাদের পছন্দের সিরিজ বা ম্যাচ বাছাই করে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ঢুকতে পারবেন। আর যারা খেলবেন না, তারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন।