জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শঙ্খ নদীতে সাঙ্গু সেতুর উপর নির্মিত সেতুটি গত ৩০ নভেম্বর যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে বিজয়ের মাসে যেকোন দিন ভাচ্যুয়ালী উদ্বোধন করবেন সেতুটি।
ইতিপূর্বে সেতুর সংযোগ সড়কসহ ৩ লাইনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। ৬ লেইনের মধ্যে ৩ লাইন সাঙ্গু সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর পরেই পুরানো সেতুটি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ৬ লেইনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সে ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মহাসড়কে যে কয়টি সেতু নির্মাণ হচ্ছে সব কয়টি সেতুই একই ডিজাইনকে অনুসরণ করে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ৪টি সেতু নির্মিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সেতুগুলির নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্প্রেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। গত ২০১৮ সালে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেন যা আগামী বছরের মাঝামাঝি সবকয়টি সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ডিজাইন অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ সরাসরি তদারকি করছেন জাইকা’র প্রতিনিধি দল।
ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ের ডিজাইনের সাথে সঙ্গতি রেখেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুসহ চারটি সেতু নিমার্ণ কাজ শেষ পর্যায়ে। জানা যায়, ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে চন্দনাইশের বরুমতি খালের উপর ৬০.১৫ মিটার দীর্ঘ মাজার পয়েন্ট সেতু, ২৩৮ মিটার দীর্ঘ দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, ৩২১.৪৫ মিটার দীর্ঘ চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু, ৬০ মিটার দীর্ঘ পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। প্রতিটি সেতুরই প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। ইতিমধ্যে চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুটির তিন লেনের কাজ শেষে গত ১০ নভেম্বর যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়।
ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্কের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার আহমদ বলেছেন, ৭৫১ কোটি টাকা ব্যায়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৪টি সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ২’শত ৩৮ মিটার দীর্ঘ দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, ৬০.১৫ মিটার দীর্ঘ বরুমতি সেতু ৩২১.৪৫ মিটার দীর্ঘ চকরিয়া মাতামুহুরী সেতু ৬০ মিটার দীর্ঘ পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু। প্রতিটি সেতুর প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। এর মধ্যে গত ১০ নভেম্বর চকরিয়া মাতামুহুরী সেতুর কাজ শেষে যানবাহন চলার জন্য উম্মুক্ত করা হয়। তিনি আরো বলেন, এ দুটি সেতু বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাচ্যুর্য়ালী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুততার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চন্দনাইশের বরুমতি খালে মাজার পয়েন্ট সেতুটি একসাথে ছয় লেনের কাজই শেষ হয়েছে। এখন এপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে মাজার পয়েন্ট সেতুর শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর কাজ ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply