
আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবানঃ
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের পিআইও অফিস চলাকালীন সময়ে কক্ষে প্রবেশ করে রুপকারি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সমর বিজয় চাকমাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা।
সংগঠনটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, এতে বলা হয় গত বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে একটায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষ জেএসএস (সন্তু গ্রুপ) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি অফিসের ভেতরেই ব্রাশফায়ার করে সমর বিজয় চাকমা (৪০)কে হত্যা করা হয়। সমর বিজয় চাকমা বাঘাইছড়ির রূপকারি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার ছিলেন।
বান্দরবান পৌরভার সভাপতি মো. শামসুল হক সামুর সভাপতিত্বে মো. মিজানুর রহমান আখন্দ এর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির। এছাড়াও মো. নছির উদ্দিন, মো. নুরুল আলম, মো. এরশাদ চৌধুরী, মো. নুরুল আবচার, মো. ইকবাল মাহমুদ, মো. শাহ জালালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এই সময় বক্তারা বলেন রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনী সন্তু লারমা, এখন তার স্ব-জাতিরাও খুনী সন্তু লারমা ও প্রসিত খিসার দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর নিকট নিরাপদ নয়, অতিসত্বর খুনের দায়ে খুনী সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ ও তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসি কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতিদ্রুত প্রত্যাহারকৃত সকল সেনা-ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ বাহিনীর যৌথ চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। পার্বত্য চুক্তির পুর্বশর্ত ছিলো পাহাড়ে কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা, যেহেতু খুনী সন্তু লারমা অস্ত্রের ঝনঝনানি ও খুনের মাধ্যমে চুক্তি ভঙ্গ করেছে তাই অচিরেই এই চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করে সকল জাতি গোষ্ঠীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা হউক ।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply