1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, তবু বৃদ্ধার ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা বিল!
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম

বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, তবু বৃদ্ধার ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা বিল!

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০, ৮.১৬ এএম
  • ১৮৬ বার পঠিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিদ্যুতের সংযোগ নেই বৃদ্ধা শ্যামলা বেগমের। তিনি শুধু আবেদন করেছিলেন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য। কিন্তু তার নামে এক লাখ ১৪ হাজার ৬২৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।
ভূক্তভোগীর না আছে সেচ প্রকল্প, না আছে খুঁটি, না আছে বিদ্যুতের সংযোগ। অথচ প্রায় পাঁচ বছর পর তার নামে অবাঞ্চিত বিল এবং বিল খেলাপির দায়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অধীনে টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছেন।

হতভাগ্য ভুক্তভোগী শ্যামলা বেগম উপজেলার জেলার কাশিল ইউপির দাপনাজোর হাকিমপুর গ্রামের মৃত আবদুল সবুর মিয়ার স্ত্রী।

বৃদ্ধা শ্যামলা বেগমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক পৌর এলাকার মশিউর রহমান বিদ্যুত নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইনের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর অধীনে আবেদন করেন শ্যামলা বেগম। ওই সময় দাপনাজোর হাকিমপুর, দেউলী ও মুড়াকৈ এলাকার ১২ জনের কাছ থেকে সেচ মেশিনের বিদ্যুতের লাইন পাইয়ে দিতে স্থানীয় শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মশিউর রহমান বিদ্যুত বিভিন্ন খরচ বাবদ ১১ লাখ টাকা নেয়। পরের বছর ১১ জনের বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেও শুধুমাত্র শ্যামলা বেগম বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ করেন।

তার পরিবার জানায়, দূরত্বের অজুহাতে ওই সময় তাদের সংযোগ দেয়া হবে না এবং ওই নামের সংযোগটি বাতিল বলে সংশ্লিষ্টরা চলে যায়। সম্প্রতি সেচ পাম্পের বিপরীতে শ্যামলা বেগম নামে এক লাখ ১৪ হাজার ৬২৭ টাকার একটি বিল ধরিয়ে দেন বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এতেই শেষ নয়। টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ (বিউবো) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইমুম শিবলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বিদ্যুৎ আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন। এ মামলায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিবাদী বৃদ্ধা শ্যামলা বেগমকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্যামলা বেগম বলেন, ১১ জন বিদ্যুৎ সংযোগ পেল, অথচ আমি পেলাম না। সেচ মেশিনে বিদ্যুতের লাইনের জন্য ৮০ হাজার করে টাকা গেল, আবার ভৌতিক বিলও আসল। বৃদ্ধ বয়সে আমাকে মামলায় জড়ানো হল। আমি এই হয়রানীর বিচার কোথায় পাব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন এই হয়রানিমূলক মামলার দায় থেকে আমাকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবেন এবং যারা এ হয়রানী এবং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের শাস্তি দেবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিনুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের জন্য শ্যামলা বেগম আবেদন করলেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ খুঁটি, তার, সংযোগ কোনোটাই দেয়নি। অথচ বিদ্যুৎ বিল খেলাপি মামলা হয়েছে। এই মামলা থেকে বৃদ্ধা শ্যামলা বেগমকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বিদ্যুৎ লাইন পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে টাকা লেনদেনকারী স্থানীয় মাধ্যম শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে আমার হাত দিয়েই ১২টি সেচ সংযোগের জন্য বাসাইলের মশিউর রহমান বিদ্যুতকে ১১ লাখ টাকা দিলেও ১১টি সংযোগের ব্যবস্থা করে দেয় সে।ওই সময় বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলেন, শ্যামলা বেগমের সংযোগ বাতিল হয়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে তার নামে কোনো বিদ্যুৎ বিলও আসেনি। হঠাৎ করেই শ্যামলা বেগমের নামে বিল বকেয়া সংক্রান্ত বিদ্যুৎ বিভাগের মামলার সমন এসেছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ লাইন পাইয়ে দিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা গ্রহণকারী বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা যুবলীগের বর্তমান আহবায়ক মশিউর রহমান বিদ্যুত বলেন, খরচ বাবদ ১২ জনের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয় এবং ৯টি সেচে বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হয়। বাকি ৩টির বিষয়ে আমার জানা নেই। শুনেছি এরমধ্যে দুইটি নিজ দায়িত্বে খুঁটি এবং তার কিনে সংযোগ নিয়েছে। শ্যামলা বেগমের লাইন না পাওয়ার বিষয়টি সখিপুর অফিসকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছিল।

মামলার বাদী টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ (বিউবো) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইমুম শিবলীর সঙ্গে মোবাইলে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোবাইলে কথা বলা যাবে না, অফিসে আসেন বলে তিনি ফোন কেটে দেন।’

টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো)-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদত আলীর কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কিছু বলবো না

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews