সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদররের এক বালু পাথর ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জিম্মিকরে টাজা আতœসাথের অভিযোগ পাওয়া গেছে । উপজেলা সদররের নতুন পাড়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার পুত্র বালু পাথর ব্যবসায়ী কাহার মিয়া । পরে ব্যবসায়ী কাহার মিয়া নিরুপায় হয়ে বিগত ২১ জুন ২০২০ ইং তারিখে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এর প্রতিকার ছেয়ে একটিঅভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপর বাদাঘাট (দ:) ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের মৃত রইছ মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া কর্তৃক নির্যাতনের শিকার। এখানকার বালি-পাথর ব্যবসায়ীদের সর্বশান্ত করতে কাজ করে এক শ্রেণির জালিয়াত ব্যবসায়ী চক্র, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করেই ফাদ পেতে নিঃস্ব করে এই জালিয়াত চক্র । আরও জানা যায়, কাহার মিয়া(৪০) পিতা-ইউনুছ মিয়া,সাং-দুর্গাপুর, দীর্ঘদিন ধরে ভ‚লাগঞ্জে বালু-পাথরের ব্যবসা করে আসছে । তাহার ব্যবসার উন্নতি ও অবস্থা দেখে শাহজাহান মিয়া ভ‚লাগঞ্জের ব্যবসায়ী কাহার মিয়াকে টাকা ধার দেয় । শাহজাহান মিয়া কাহার মিয়ার চাচাতো ভাই । ভোলাগঞ্জে অবস্থানরত শাহজাহান জালিয়াত চক্রের নজরে পড়ে এবং তাদের কু-পরামর্শে কিছুদিন যাবার পর শাহজাহান মিয়া তার টাকা ফেরত চায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভোলাগঞ্জের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সামনে কাহার মিয়া টাকা পরিশোধ করে। কিছুদিন পর কাহার মিয়া বাড়ীতে আসলে শাহজাহান মিয়া আবার ভ‚লাগঞ্জের পাওনা টাকার কথা বললে কাহার মিয়া স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানায় । পরক্ষনেই শাহজাহান হাসতে থাকে এবং জানায় তোমার স্বাক্ষীদের বলতে বলো। অতঃপর স্বাক্ষীদের ফোনালাপে জানতে পারে ফেরত দেওয়া ঘটনাকে নিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। কাহার মিয়া আরোও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানায়, তারা সকলেই বলে, সাজানো স্বাক্ষীগন এভাবেই জিম্মি করেছে বহু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৪-৫ বার করেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । কাহার মিয়ার ইজ্জ্বত সম্মানের দিকে তাকিয়ে শাহজাহান মিয়ার অনৈতিক আচরনের কাছে দায়বদ্ধ এবং পূণঃরায় ঐ টাকা ফেরত দেয়। এখানেই শান্ত থাকেনি এ চক্র, এক পর্যায় জোরপূর্বক কাহারের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। কাহার মিয়া স্বাক্ষরিত সাদা কাগজ উদ্ধারে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর ২১/০৬/২০২০ ইং একটি অভিযোগ দেন।