বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে থাবা বসিয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। সোমবার পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
মূলত ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সদর দফতরেও সেটার প্রভাব পড়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষায়িত এই সংস্থাটির সদর দফতরে একটি করোনার ক্লাস্টারও চিহ্নিত করা গেছে।
অবশ্য যে ৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অর্ধেকই বাসা থেকে কাজ করা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বাকি ৩২ জন সদর দফতরের মধ্যে কাজ করছিলেন এতদিন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা বর্তমানে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে এবং তার কর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও করোনা সংক্রমণ রোধের অন্যান্যা নিয়মগুলো কঠোরভাবে মানা হয়েছিল কি? স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার পরও যদি তারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে কি এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত করোনা সংক্রমণের বিধিগুলো কার্যকর নয়?
করোনার এই ধাক্কা সামলে উঠে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে কি ব্যাখ্যা ও বর্ণনা দেয় সেটাই দেখার বিষয়।