1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বিয়ে জালিয়াতিতে ফেঁসে গেলেন নাসির-তামিমা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিয়ে জালিয়াতিতে ফেঁসে গেলেন নাসির-তামিমা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১১.৩৭ পিএম
  • ২৫২ বার পঠিত

তৌহিদ আহাম্মেদ রেজাঃ

বিয়ে জালিয়াতিতে ফেঁসে গেলেন নাসির-তামিমা

বিতর্কই যেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের পছন্দ। একের পর এক নারী ঘটিত কেলেঙ্কারিতে ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে তার। তবুও যেন সেখান থেকে বেরোতে পারছেন না তিনি। তাইতো ক্রিকেটারদের ‘ব্যাড বয়’ তকমাটি যেন একদম ঘায়ে মেখে নিয়েছেন নাসির। কিছু দিন আগে হুমায়রা সুবাহ নামে এক মডেলের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা না হয় না-ই বললাম। তবে সব ভুলে বাংলাদেশের ফিনিশার হিসেবে খ্যাত নাসির হোসেন সম্প্রতি বিয়ে করেছেন এটা যেন এক ধরনের স্বস্তি ছিলো ক্রিকেট ভক্তদের কাছে। যদিও সেই স্বস্তিকে হারাম করে আবারো সমালোচনার জন্ম দিলেন সেই ব্যাড বয় নাসির।

এবার নাসিরের বিয়ে ঘিরে সৃষ্ট হয়েছে নতুন বিতর্ক। তামিমা সুলতানা নামে যে নারীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে তিনি নাকি ১১ বছরের সংসার ফেলে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এই ক্রিকেটারের সাথে। এমনকি ডিভোর্সও দেননি পূর্বের স্বামীকে। সে ঘরে রয়েছে তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যাও। এমনও শোনা যায় ওই সংসার ছাড়াও অন্য জায়গায় ৬ মাস সংসার করেছেন নাসিরের স্ত্রী তামিমা। এটা নিয়ে ব্যাপক সালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সে সময় নাসির ও তামিমা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে নাসির জানান, তিনি সব কিছু যেনেই তামিমাকে বিয়ে করেছেন। তবে তামিমা আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই বিয়ে করেছেন একথা সত্যিই নয়। তামিমার আগের স্বামী রাকিবকে ডিভোর্স দেয়ার পরেই তাদের বিয়ে হয়েছে। এ সময় তারা কিছু নথিপত্র দেখান। কিন্তু তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব নথিপত্র ভোয়া বলে দাবি করেন এবং আদালতে মামলা করেন। এরপর সেই মামলার তদন্তের ভার পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। পিবিআইর তদন্তে এবার বেরে এসছে থলের বিড়াল।

নাসির-তামিমার পরকীয়া ‘ব্যাভিচার’, বিয়েতে যত জালিয়াতি
২০১৬ সাল। তখনও কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মি রাকিব হাসানের স্ত্রী। তামিমা কাজ করতেন সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে। সে সুবাদে বেশিরভাগ সময় বিদেশেই থাকতে হতো তাকে। ওই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে প্রায়ই কথা হতো দুজনের। ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি তামিমা বাংলাদেশে এসে গুলশান-২ এর একটি রেস্তোরাঁয় দেখা করেন নাসিরের সঙ্গে। এরপর দুজনই নিয়মিত কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে নাসির-তামিমার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আগে তারা বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার দেখা করেন। পিবিআইর তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। পিবিআইয়ের কাছে নাসির ও তামিমা- দুজনই জবানবন্দি দেন।
জানা যায়, ব্যবসায়ী রাকিব-তামিমা ও তার পরিবারসহ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত উত্তরার ৯নং সেক্টরের একাধিক বাসায় একসঙ্গে ছিলেন। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে রাকিবের ভাড়া বাসা, হোটেল ও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় ছিলেন তামিমা। যদিও তামিমার দাবি, তিনি রাকিবকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ডিভোর্স দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের কাছে জবানবন্দিতে তামিমা বলেন, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হোটেল লা মেরিডিয়ানে রাকিবের সঙ্গে তার অনেকবার দেখা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই হোটেল লা মেরিডিয়ানের রিজারভেশন রুম নম্বর ১০১৭-তে রাকিব ‘অ্যাকমপ্যানিং গেস্ট’ হিসেবে তার (তামিমা) সঙ্গে একদিন ছিলেন।
এদিকে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ শেষ হয় তামিমার পাসপোর্টের মেয়াদ। পরে নবায়নের সময় স্বামীর নাম রাকিব হাসানই উল্লেখ করেন তামিমা। ২০১৬ সালে ডিভোর্স হয়ে থাকলে স্বামীর নাম রাকিব হাসান লেখার আইনগত বৈধতা নেই বলে জানায় পিবিআই।

এছাড়া চাকরির সমস্ত নথি, মেডিকেল কার্ড, সৌদি আইডি কার্ড, লাইসেন্স এঅঈঅ আইডেনটিফিকেশন কার্ড- সব জায়গাতেই স্বামীর নাম রাকিব হাসান ব্যবহার করেছেন তামিমা।
পিবিআইকে দেয়া জবানবন্দিতে নাসির জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নাসিরের সঙ্গে পরিচয় হলেও তামিমা ওই বছরের শেষ দিকে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ের বিষয়টি তাকে জানান। বিয়ের বিষয়ে তামিমা অস্বস্তিবোধ করতেন। চেষ্টা করতেন এড়িয়ে যাওয়ার। পরে ২০২০ সালের শেষের দিকে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের হাভেলি রেস্তোরাঁয় ২০ লাখ ১০০ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন নাসির-তামিমা। নাসির ও তামিমা বিয়েতে বড় ধরনের জালিয়াতি করেছেন, যা পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৯-এর ২৫ ধারা মোতাবেক, বিয়ে ও তালাক যে স্থানে সম্পন্ন হয়েছে সেই স্থানের নাম উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু তদন্তে নেমে পিবিআই পেয়েছে, নাসির ও তামিমার বিয়ে হয়েছে ঢাকার উত্তরায়। কিন্তু তাদের কাবিননামায় ‘বিবাহ কার্যনিষ্পন্ন স্থান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঘারিন্দা ইউনিয়ন কাজী অফিস টাঙ্গাইল সদর। টাঙ্গাইলের ৩নং ঘারিন্দা ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দেলোয়ার হোসাইন এই বিয়ে নিষ্পন্ন করেন। পিবিআইকে দেয়া জবানবন্দিতে নাসির আরও জানান, সব জেনেই তামিমাকে তিনি বিয়ে করেছেন। বিয়ের আগে তামিমার স্বামী রাকিবের সঙ্গে তার (নাসির) কখনো দেখা বা কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাকিবের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একবার কথা হয়েছে বলে জানান নাসির।

এদিকে রাকিবের সঙ্গে তামিমার তালাক নোটিশ নিয়েও করা হয়েছে জালিয়াতি। তালাক নোটিশ দিলেও তামিমা ও তার মা সুমি ছিলেন রাকিবের বাসায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে অবৈধ উল্লেখ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য ক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews