রেখা মনি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। এদিকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন স্বাস্থ্য সহকারী ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের প্রাথমিকভাবে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে সকল ধরনের পার্সপোটধারী যাত্রী চলাচল ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। তবে বুড়িমারী স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারত ও ভুটান থেকে পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে।
জানা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হওয়ায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সব সীমান্ত ১৪ দিন বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। যারা আসবেন তাদেরকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু থাকবে। তবে বুড়িমারী স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারত ও ভুটান থেকে পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সকাল ৮ থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চলবে। তবে কোনো ভারতীয় ট্রাকচালক বাংলাদেশে রাত্রি যাপন করতে পারবে না।
ভারতে আসাম থেকে আসা ট্রাকচালক শাহ আলী জানান, আমাদের করোনা নমুনা পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সনদ প্রদান করছে। সেই সনদ দেখিয়ে ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি।
বাংলাদেশি চালকদেরও করোনা পরীক্ষায় সনদ দেখিয়ে ট্রাক নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে উভয় দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিন এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরীক্ষা করে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।