এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
ফের চালু হলো বুড়িমারী স্থলবন্দর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর গত ১০ জুন সচল হয়। ওইদিন সচল হওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ভারত-বাংলাদেশের এ দুই স্থলবন্দর। গত বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সকালে ১১টায় স্থলবন্দরের হল রুমে আমদানি-রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুপুর দেড়টার পর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর পূনরায় সচল হয়। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গত ৩০ জুন এক সভায় বলেন, বাংলাদেশের সাথে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার অনেক দিন থেকে বন্ধ আছে। বাংলাদেশ বার বার অনুরোধ করছে। অনেক জিনিসপত্র আটকে আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমরা চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর আগামীকাল (০১ জুন) খুলে দিচ্ছি। এ ঘোষণার একদিন পর বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের নিকট স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠি দেয়। চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) পূনরায় সচল হয়।এর আগে গত ৮ জুন বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকার শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ১০ জুন উভয় দেশের বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। ১০ জুন বন্দর চালু ও পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হয় কিন্তু পণ্যবাহী যান আসা-যাওয়া করলে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা গ্রামের বাসিন্দারা বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশে বাঁধা প্রদান করে। প্রবেশকৃত ট্রাক ঘিরে হট্টগোল করায় উভয় দেশের স্থলবন্দর বন্ধ করা হয়। বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল বলেন, সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে বুড়িমারী স্থলবন্দর ফের চালু করা হয়েছে।