দ্বীন ইসলামের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাটের ফুল এলাকা হয়ে রাতের অন্ধকারে প্রতিদিন প্রতিবেশী ভারত থেকে প্রশাসনের সরব নজর দারিতে চোরাই পথে আনা হচ্ছে হাজার হাজার কেজি চিনি। চোরাই পথে প্রতিদিন আনা এইসব চিনির বস্তা ১০ থেকে ১২ টি কাভার্ডভ্যান করে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ পথে এইসব চিনি চোরাই করবারের সাথে কসবা উপজেলার কুঠি ইউনিয়নের রানিয়ারা বিষ্ণুপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে মাসুম পারভেজ সরাসরি জড়িত থাকলেও তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন কসবার প্রতাফশালী ব্যক্তিরা যাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলে না কেউ । অভিযোগ আছে সীমান্ত এলাকার উঠতি তরুণদের এইসব বিষয়ে নজর এড়াতে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে নানা মাদক।
জানা যায়, কসবা থানায় মহিউদ্দিন পিপিএম ওসি থাকাকালীন সময়ে ১১০০ কেজি চিনিসহ মাসুম পারভেজকে আটক করা হয়। সেসময় কয়েকদিন চোরাই পথে চিনি আনা বন্ধ হলেও বর্তমান কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে কসবা সীমান্ত এলাকাকে ব্যবহার করেছেন চোরা কারবারিদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে।
অনুসন্ধানে জানা যায় পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে অবৈধ পথে প্রতিদিন আসছে চিনি, চিংড়ি মাছে রেনু, শাড়ি কসমেটিক, মাদক থেকে শুরু করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও নিষিদ্ধ নানা মাদক দ্রব্য।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কসবা থানার সখ্যতায় মাসুমের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন কুমিল্লা জেলার মাদক মাফিয়া আরিফ মিয়া। মূলত আরিফ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোঁহায় দিয়ে ও তাদের নাম ব্যবহার করে কুঠি ইউনিয়নের কাটের ফুল এলাকায় হাজার হাজার কেজি বস্তা চিনি মজুদ করছেন । পরবর্তীতে সেগুলা বাংলাদেশের বড় কোম্পানি ফ্রেশ ব্যান্ডের প্যাকেটে করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছেন তারা।
এইগুলো নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে মাসুম এবং আরিফের পৌষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘুম খুন মিথ্যা মামলার দিয়ে ফাঁসিয়ে ঘুম হারাম করেছেন অনেকের। সম্প্রতি তাদের চোরাই কারবারের প্রতিবাদ করায় কসবা থানার দ্বীন ইসলামের জীবনের নিয়ে এসেছে জীবন মৃত্যুর কালো ছায়া। প্রতিনিয়ত তাদের নানা হুমকি ও মামলার ভয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন দ্বীন ইসলাম।
কসবা থানার পূর্ববর্তী ওসি মহিউদ্দিনের আমলে যেখানে চোরাইকারবারীদের ঘুম হারাম হয়ে যেত মূলত তিনি কসবা থানা থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই চোরাই কারবারীরা রমরমা মাদক ব্যবসা ও চোরাই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
অন্যদিকে কুমিল্লার জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানা মিরপুর হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে আরো গুরুতর অভিযোগ মূলত মিরপুর হাইওয়ে পুলিশের সরাসরি মদতে চোরাই কারবারিরা নিরাপদে প্রচার করছেন চোরাই পথে আসা এইসব পণ্য।