1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ব্রিটিশ পোশাক ক্রেতাকে যে হুমকি দিলো বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থী খোরশেদ আলম বায়েজিদ থানা পুলিশের অভিযানে ২১০০ শত পিস ইয়াবা সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জাতীয়তাবাদী নাগরিক প্রজম্ম দলের রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার কমিটি উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশের দাসপাড়াতে ২৪ প্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞা অনুষ্ঠান বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।  ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ক্যাবের ৮ দফা কেশবপুরে অসুস্থ গরু জবাই করার অপরাধে এক গরুর ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড আগাম ও পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষে কৃষকের সাফল্য নোয়াখালীতে ৩৩তম আন্তর্জাতিক ও ২৬তম জাতীয় দিবস পালিত   লোহাগড়ায় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠান ও মিষ্টি বিতরণ

ব্রিটিশ পোশাক ক্রেতাকে যে হুমকি দিলো বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জুন, ২০২০, ২.৪০ পিএম
  • ২৬৪ বার পঠিত

ডেস্ক: বাংলাদেশের পোশাক খাতের মালিকদের দুটি সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ২১শে মে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এডিনবার্গ উলেন মিল ইডব্লিউএম এবং এর অধীন পিকক, জ্যাগার, বনমারশে, জেন নরম্যান, অস্টিন রিডসহ কয়েকটি ব্র্যান্ডকে একটি চিঠি দেয়।

চিঠিতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য একটি সময় বেধে দেয়া হয়, এবং পাওনা পরিশোধে সময়সীমা পেরিয়ে গেলে তাদের কালো-তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।

পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বাংলাদেশে ইডব্লিউএম ও তাদের ব্র্যান্ডগুলোতে যারা পোশাক সরবরাহ করে এমন কয়েকটি পোশাক কারখানার কাছ থেকে কয়েকদফা অভিযোগ পাবার প্রেক্ষাপটে, এই চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠনটি।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই কার্যাদেশ বাতিল করেছে, কিন্তু এই ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা ভালো নয়।

“এই প্রতিষ্ঠান ও তার ব্র্যান্ডগুলোর কাছে ২১ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বকেয়া রয়েছে আমাদের কয়েকটি কারখানার। এই প্রতিষ্ঠানটি আগেও মাঝপথে অর্ডার ক্যানসেল করে, বাংলাদেশেরই অন্য কারখানার সাথে আবার কাজ করতে যায়, এমন অভিযোগ আছে।

এসব বিবেচনা করেই আমরা (বিজিএমইএ) বকেয়া পরিশোধ করার চিঠি দিয়েছি, অন্যথায় তাদের কালো-তালিকাভুক্ত করা হবে সেটা বলা হয়েছে।”

এই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে মাঝপথে কার্যাদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছে, কিন্তু ইতিমধ্যেই এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যাদেশের অনেকটাই সম্পন্ন করেছে।

কিন্তু সেজন্য কোন ধরণের অর্থ শোধ করেনি বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে।

যার ফলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা।

মি. জামাল বলেন, কোন ব্র্যান্ডকে কালো তালিকাভুক্ত করার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের অন্য কোন পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওই ব্র্যান্ডের জন্য কাপড় তৈরি করবে না।

এ বিষয়ে ইডব্লিউএমের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েক দফা ইমেইল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু যান্ত্রিক জবাবে জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠানটির সব অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে যে কোন অনুসন্ধানের জন্য পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক খাতে ইতিমধ্যে তিনশো কোটি ডলারের বেশি কার্যাদেশ বাতিল করেছে।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মি. জামাল জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে অন্য বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যেও একটি বড় অংশ তাদের পাওনা পরিশোধ করেননি।

ফলে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধসহ নানা ধরণের ঝামেলায় পড়ছেন উদ্যোক্তারা।

এদিকে, বিজিএমইএ বলছে, চিঠি পাবার পর ইডব্লিউএম অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

তবে, এখনো আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব কিংবা বকেয়া অর্থ পরিশোধের কোন কথা বলা হয়নি বলে জানাচ্ছিলেন মি. জামাল।

বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ দুইটি সংস্থাই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাকে কার্যকর পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে, এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নানা বিপর্যয়ের মধ্যে একাধিক বিদেশি ক্রেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেবার আগে ভাবতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো উপকৃত হয়ে যাবে কিনা, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

“ক্রেতারা কার্যাদেশ দেবার পর সেটি বাতিল বা স্থগিত করলে সেটার জন্য কি ধরণের প্রতিকার পাওয়া যাবে, সেটি সংশ্লিষ্ট পোশাক কারখানার সঙ্গে তাদের চুক্তির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু করোনার কারণে যখন সারা পৃথিবীতেই মানুষের আয় কমে যাচ্ছে, তখন তাদের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অনৈতিক।”

“কিন্তু একই সাথে কালো তালিকা করার মত কঠিন ব্যবস্থা নিলে ওই অর্ডারগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী কোন দেশের কাছে চলে যাবে কিনা সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”

সূত্র: বিবিসি বাংলা
শীর্ষ নিউজ/এন

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews