1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়েছে ,প্রতিদিন প্রার্থনা সভার আহ্বান
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি

ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়েছে ,প্রতিদিন প্রার্থনা সভার আহ্বান

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৩.২৯ এএম
  • ২০৯ বার পঠিত

লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :

ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন লোক মারা যাচেছ।প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।কোন ভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসে মুত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার।স্বজন হারানোর বেদনা আর নতুন সংক্রমণের আশঙ্কায় পুরো দেশ আতঙ্কিত। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। মহামারি তবু তীব্রতা নিয়ে হানা দিয়েছে। এমন ভয়াবহতায় দেশের জন্য আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যান্টারবারি এবং ইয়র্কের আর্চবিশপরা। এমন আহ্বান জানিয়ে তারা জনগণের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।দেশের প্রতিটি মানুষের প্রাণহানীর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, এর পূর্ণাঙ্গ দায় তিনি নিচ্ছেন। তার ভাষায়, আমরা যতটা করতে পারি তার সবটাই করেছি।

ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি এবং ইয়র্কের আর্চবিশপ স্টিফেন কোট্রেল বলেছেন, করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে এক লাখ মানুষ। এটা শুধু একটি বিমূর্ত সংখ্যা নয়। এর প্রতিটি সংখ্যা এক একজন মানুষের কথা বলে। এর প্রতিটি সংখ্যা সেইসব মানুষের কথা বলে, যাদেরকে আমরা ভালবাসি, যারা আমাদেরকে ভালবাসতেন। ধর্মে কারো বিশ্বাস থাক বা না থাক, তবু সব মানুষের প্রতি এই দুই আর্চবিশপ আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন গ্রিনিচ মান সময় সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে প্রার্থনায় যোগ দেয়। চিঠিতে তারা আরো উল্লেখ করেন, দরিদ্র সম্প্রদায়গুলো, জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং যেসব বিকলাঙ্গ রয়েছেন তারা মহামারিতে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা পূরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে তারা স্বীকার করেন, লকডাউনের মতো চ্যালেঞ্জ- বিশেষ করে আইসোলেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যগত লড়াইয়ের ফলে এসব মানুষের জীবনজীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারা আরো বলেছেন, প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধের ফলে আমরা হয়তো প্রিয়জনের মৃত্যুর সময় তার কাছে থাকতে পারবো না। অথবা তাদের সমাধিক্ষেত্রেও থাকতে পারবো না। সমস্ত শোক আমাদেরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু এই মহামারির বেদনা খুবই দুঃসহ। তা সত্ত্বেও তারা সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে আমরা যতটা পারি তার সবটাই চেষ্টা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, একে অন্যের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে। আমরা একে অন্যের কেয়ার করি এবং ভালবাসি। একই সঙ্গে তারা সবাইকে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে উৎসাহিত করেছেন।
এ অবস্থায় এদিন ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, এই বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে পরিসংখ্যানটা দেয়া কষ্টকর। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকা-ের সব দায়দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। জনজীবন রক্ষায় এবং ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দুর্ভোগকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনতে আমরা যা পারি তার সবটাই করেছি। বৃটেনে মৃত্যু সনদ দেয় অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস। তাদের তথ্যে দেখা যাচ্ছে এই মহামারি শুরুর পর বৃটেনে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ ৪ হাজার মানুষ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ৫ নম্বর দেশ হিসেবে আবির্ভূত হলো বৃটেন, যেখানে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বৃটেনের সামনে আছে চারটি দেশ। তারা হলো, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকো।বৃটেনে আরো ২০ হাজার ৮৯ জন মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল বিষয়ক কর্মকর্তা প্রফেসর ক্রিস হুইটি। তিনি বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে আসবে। কিন্তু সরকারকে পরামর্শ দেয় এমন একজন বিজ্ঞানী প্রফেসর ক্যালাম সেম্পল বলেছেন, বৃটেনে এই ভাইরাসে আরো কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন।
বৃটেনে করোনা মহামারিকে একটি ‘জাতীয় দুর্যোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিরোধী দল লেবার নেতা স্যার কিয়ের স্টরমার। তিনি সরকারের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, গ্রীষ্মে সরকার কোনো কিছুই শিক্ষা নেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews