চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের ঘোষণা খেলার মাঠে আর হবে না মেলা। কথা নয়,কাজে পরিচয়, প্রশাসকের নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দেয়। ভবিষ্যতে খেলার মাঠে কোন ধরণের মেলাসহ সকল প্রকার মেলা আয়োজন বন্ধের ঘোষণা করেন তিনি। খবর পাওয়া মাত্রই চৌকস সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আলোচনায় প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে আধাঁরে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে ‘লিডিং ই কমার্স সোসাইটি,চট্টগ্রাম নামে একটি প্রতিষ্ঠান মেলার আয়োজন শুরু করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো:তৌহিদুল ইসলাম,সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভুমি মো: রাজিব হোসেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দেন তারা। খুলে ফেলা হয় বাঁশ,ব্যানার ও তাবু।ই কমার্স সোসাইটির এক কর্মকর্তা বলেন,আমরা গত জানুয়ারি মাসে অনুমতি নিয়েছিলাম,সিজেকেএস কে জায়গা ব্যবহারের জন্য অগ্রিম ভাড়াও দিয়েছিলাম।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তৌহিদুল ইসলাম বলেন,জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। তার ঘোষণার পর এখানে আর কোন মেলার আয়োজন করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন,লিডিং ই কমার্স সোসাইটি যে পরিমাণ টাকা ভাড়া হিসেবে জমা দিয়েছিল,তা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরণের মেলাসহ সকল প্রকার মেলা আয়োজনের জন্য আমরা শহরের অদূরে একটি জায়গা ঠিক করেছি। সেখানে সব মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরী গড়তে সকলের সহযোগিতায় সব রকমের দায়িত্বে কর্তব্যে আন্তরিক ও সক্রিয়তার সাথে কাজ করবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
এর আগে গত ২ মার্চ এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।শুধু আউটার স্টেডিয়াম নয়,নগরের সকল মাঠগুলো উদ্ধার করা হবে। তৈরি করা হবে নতুন মাঠ।খেলার মাঠে কোন মেলা হবে না। তিনি ঘোষনা দিয়েই দায় সারেন-নি,দেখিয়েছেন বাস্তবে রেখেছেন কথা। শুধু কথা নয়,দায়িত্বের নির্লিপ্ততা উদাসীনতা নয়,কাজে হবে পরিচয়,দায়িত্ব কর্তব্যে দেখিয়েছেন সক্রিয়তা। যা ইতিবাচক আলোচনায় আলোচিত হলো নগরসহ দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে।