ধনবাড়ী টাংগাইল থেকেঃ
টাংগাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল সনদ (ভূয়া)নিবন্ধন সাটিফিকেটে চাকুরীর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Facebook, Twitter share
অভিযুক্ত শোভা খাতুন ওই বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১৪ সালের ৮মার্চে পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা (বাংলা) নিয়োগ পান শোভা খাতুন। নিয়োগ বিবরণীতে তিনি তার নিবন্ধন ব্যাচ সপ্তম দেখান বিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট।সেখানে তিনি দুইটি নিবন্ধন সনদ জমা দেন।
The Daily surjodoy
একটি সপ্তম অপরটি নবম ব্যাচের।তার এনটিআরসিএ সনদ যাচাইয়ের জন্য সাম্প্রতি বিদ্যালয়ের নিকট উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়।সে প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পএ উপজেলা শিক্ষা অফিস জমা দেন।তার নিবন্ধনের সপ্তম ব্যাচের রোল নং- ৩০১১০৪৬৮ এবং নবম ব্যাচের রোল নং-৩০১১৩৬৯৭ ব্যবহার করা হয়।যেখানে দুই সনদই বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর নেই।
পরে ওই শিক্ষিকার কাগজ পএ নিয়ে শিক্ষা অফিস বিপাকে পড়েন। উপজেলা শিক্ষা অফিস ওই বিদ্যালয় কতৃপক্ষ কে বিষয়টি অবিহিত করেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিবন্ধিত ওই দুই ব্যাচের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কৃতকার্যদের তালিকায় শোভা খাতুনের রোল নম্বর নেই।
Surjodoy.com
এনটিআরসিএ সার্চ করলে তার দুই নিবন্ধনই ভিন্ন নামে দেখায়।এ ব্যাপারে শিক্ষিকা শোভা খাতুনের মোবাইল নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সেলফ ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলাইমান হোসেন জানান,উপজেলা শিক্ষা অফিস তার দুইটি নিবন্ধনই যাচাই -বাছাইয়ে গড় মিল পাওয়া যায় বলে জানান।
Facebook, Twitter share
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সাবেক প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ স্যারই ভালো জানেন। তাকে তিনি কিভাবে নিয়োগ দিয়ে ছিলেন।এ ব্যাপারে পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে যোগাযোগের জন্য ফোন -০১৭৩৬২২০৪৩৫/০১৭৫৬১৯২৫ দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
The Daily surjodoy
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান খান বলেন, তার এনটিআরসিএ দুটো সনদই যাচাই -বাছাই করে আমরা তার ফলাফলে গড়মিল পাই।তবে তার বিষয়টি অধিকতর যাচাই -বাছাইয়ের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কেন্দ্রে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার শেখ শামছুল আরেফিন বলেন,বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়নি।যদি যাচাই -বাছাই শেষে তার কাগজপত্র ভূয়া প্রমাণিত হয়।তাহলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।