আলী আজগর পনির , নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা জেলা মদন উপজেলার ১ নং কাইটাইল ইউনিয়নের শিবাশ্রম গ্রামের সুধাংশ বিশ্বাস এর ছেলে তাপস বিশ্বাস( ৩০)এর প্রতারণায় মিনা আক্তার (২২) ও শান্তা রাণী ( ১৮) দুই নারীর জীবনের সর্বনাশ।জানা যায় তাপস বিশ্বাস চাকুরীর সুবাদে ঢাকা কুড়িলে পরিচয় হয় শেরপুর জেলা সদর থানার ডুবারচর গ্রামের নুর ইসলামেরমেয়ে মিনা আক্তারের সাথে ।
এক পর্যায়ে প্রেমের সুবাদে তাপস বিশ্বাস নিজের পরিচয় গোপন করে মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য সুমনইসলাম নামে পরিচয় দেয়।
সম্পর্ক থেকে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে চার বছর সংসার জীবন অতিবাহিত করে সুমন ইসলাম ওমিনা আক্তার।
দুইজনের সংসারের পরিশ্রমের জমানো ৮০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে নওমুসলিম সুমন ইসলাম কাইটাইল ইউনিয়নেরশিবাশ্রম গ্রামে।
শিবাশ্রম গ্রামে এসে পূর্বের বিবাহ গোপন রেখে হিন্দু পরিচয়ে পিতা-মাতার সম্মতিক্রমে দূর্গাপুর থানা দিন শ্রীরাম খিলা গ্রামের জগদীশ বিশ্বাসের মেয়ে শান্তা রাণী ( ১৮) সাথে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে ।
মিনা আক্তার উক্ত ঘটনা জানতে পেরে নওমুসলিম সুমন ইসলামের বাড়িতে আসলে তাকে এলাকাবাসী ও মদন থানারসহযোগিতা মিনা আক্তার কে প্রথমবার পাগল বলে আখ্যায়িত করে নেত্রকোনার জেল হাজতে প্রেরণ করে ।
মিনা আক্তার কে জেলহাজতে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার পিতা নুর ইসলাম।
৩০ গত অক্টোবর নওমুসলিম সুমন ইসলাম মিনা আক্তার কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নিয়ে আসে সংসারজীবন করবেবলে গ্রামের বাড়ি শিবাশ্রমে।
মিনা আক্তার আসার পর নওমুসলিম সুমন ইসলাম স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় শ্বশুর সুধাংশু বিশ্বাসের ঘরের আড়ার সাথেনিজের গায়ের ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে এমন সময় সুধাংশ বিশ্বাসের মেয়ে ও প্রতিবেশী তাকে উদ্ধার করে।
মিনা আক্তার বলেন, চার বছর সংসার জীবন অতিবাহিত করেছি এখন স্বামীর মর্যাদা না পেলে জীবন রেখে আর কি হবে মরাছাড়া আমার আর উপায় নাই।
সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে, নওমুসলিম সুমন ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, সম্পর্ক ছিল ,কিন্তু আমি মিনা আক্তার কে কাবিননামা করে বিয়ে বিবাহ করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নববধূ শান্তা রাণী গণমাধ্যমকে জানান ,আমি স্বামীর সংসার ছেড়ে যাবো না।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..