1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মন্দা সত্ত্বেও বাড়ছে ব্রিটেনের বাড়ি-ঘরের দাম
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি

মন্দা সত্ত্বেও বাড়ছে ব্রিটেনের বাড়ি-ঘরের দাম

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০, ৫.০৪ পিএম
  • ১৮৬ বার পঠিত

জমির উদ্দিন সুমন, লন্ডন থেকে: করোনাভাইরাস মহামারী সত্বেও বৃটেনে বাড়ি ঘরের দাম বাড়ছে হু হু করে। শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক ধসের মুখে পড়া সত্বেও হাউজিং মার্কেটের এই চিত্র সামগ্রিক অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদি করছে অর্থনীতির গবেষকদের।
মহামারী মোকাবেলায় মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত দেশব্যাপি লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেয়ার পর আগষ্ট মাসে যুক্তরাজ্যে ঘরের দাম ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এদিকে বুধবার চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্যাক্স বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আসন্ন শরতকালীন বাজেট নিয়ে মিডিয়া নানা ধরনের সম্ভাবনার কথা চাউর হওয়ার প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর বলেন, ট্যাক্স বা কর বাড়ানোর মাত্রাটা ভয়ংকর হবে না। এদিকে সরকার শেষ মূহুর্তে বল্টন এবং ট্রাফোর্ডে লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল করার পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
মহামারী জনিত অর্থনৈতিক সংকটকে অস্বীকার করে একটি বাড়ির গড় মূল্য নতুন রেকর্ডে উন্নীত হয়েছে। বাড়ি ঘরের জোরালো চাহিদার কারণেই মূল্য বৃদ্ধির এই ধারা সৃষ্টি হয়েছে। ন্যাশনওয়াইড বিল্ডিং সোসাইটির তথ্য অনুযায়ি, আগষ্ট মাসে যুক্তরাজ্যে একটি বাড়ির গড় মূল্য উন্নীত হয়েছে ২২৪,১২৩ পাউন্ডে, যা নতুন রেকর্ড। এই এক মাসে মূল্য বেড়েছে ২ শতাংশ হারে। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের চেয়েও গত আগষ্ট মাসের মূল্য বৃদ্ধির হার অনেক দ্রুতগতির।
রেকর্ড শুরুর পর থেকে যুক্তরাজ্য সবচেয়ে গভীর মন্দায় ভুগলেও মহামারীজনিত লকডাউন সহ নানা বিধিনিষেধ সত্বেও গত এক বছরে বাড়ি ঘরের দাম বেড়েছে ৩.৭ শতাংশ। এই ১২ মাসের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বের হয়ে আসা, মধ্যবর্তী নির্বাচনের অনিশ্চয়তা সহ নানা সংকটে ছিলো দেশ।
তবে, বাড়ি ঘরের মূল্য পতন রোধে অনেকগুলো পদক্ষেপ কাজ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে চাহিদা নিয়ন্ত্রিত থাকা এবং চ্যান্সেলর রিশি সুনাকের স্টাম্প ডিউটি হলিডে ঘোষনা, যার অর্থ হলো ইংল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডের ক্রেতাদের আগামী ২০২১ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ লাখ পাউন্ডের কম মূল্যের কোন বাড়ি কিনতে কোনরূপ টেক্স দিতে হবে না। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্ষেত্রে পৃথক হার ও থ্রেশহোল্ড প্রযোজ্য।
ইউকের সর্ববৃহত্তম বাড়ি নির্মান কোম্পানী ব্যার্যাট ডেভেলপমেন্ট গত অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৬% কম মুনাফা করেছে। তবে কোম্পানীর চীফ এক্সিকিউটিভ ডেভিড টমাস আগামী অর্থবছর সম্পর্কে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত সময়কালে বাড়ি ঘরের অত্যন্ত জোরালো চাহিদা ছিলো। এসময় ১৫ হাজার৬৬০টি বাড়ি অর্ডার তারা পান, যা গত অর্থ বছরের তুলনায় বেশি।
ন্যাশনওয়াইডের প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট গার্ডনার বলেছেন, লকডাউন নিষেধাজ্ঞা হ্রাস করার পর থেকে আবাসন মার্কেটের উত্থান অপ্রত্যাশিতভাবে দ্রুত হয়েছে। এর কারন হিসেবে তিনি ক্রেতাদের ‘ঘরে থেকে কাজ করার’ মতো আচরণ গত পরিবর্তনকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে বলেন, ‘ঘরে বসে কাজ করার’ সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে ক্রেতারা সুপরিসর রুমের বাড়িÑঘরের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি জানান, গত মে মাসে ন্যাশনওয়াইড এর এক জরিপে অংশ নেয়া ১৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, লকডাউনের ফল হিসেবে তারা ঘর পরিবর্তন করার কথা বিবেচনা করছেন।
বৃটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁর আসন্ন অটোম বাজেটে ৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের করের বোঝা আরোপ করতে চলেছেন বলে মিডিয়ায় জোর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। মহামারীর কারণে দেশের ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এই বাজেট ঘোষনার আরো অনেক সপ্তাহ বাকি রয়েছে, তারপরও ক্ষমতাসীন পার্টির মধ্যে এ নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই তিব্র আকার ধারন করছে। ওয়ার্ক এন্ড পেনশন সেক্রেটারী ট্রেসা কফি বলেছেন, চ্যান্সেলরের উচিত হবে কর বৃদ্ধি নয়, কর হ্রাস করা। লেবার পার্টিও বলছে, যেকোন ধরনের কর বৃদ্ধিকে তারা সমর্থন করবেনা।
এদিকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করার অঙ্গিকার করেও শেষ মূহুর্তে তা বাতিল করেছেন প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন। মহামারী মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি নিয়ে শোকাহত পরিবারের একটি গ্রুপ প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছিলো। প্রধান মন্ত্রী রাজীও হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহুর্তে তিনি তাদের সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews