হাবিবুল্লাহ পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
মাওলানা হাছন শরীফ (রহঃ)কক্সবাজার জেলার
পেকুয়া (সাবেক চকরিয়া) উপজেলার টইটং
ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯২৮ খৃস্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন। শৈশব থেকে তিনি অসম্ভব প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন।
তিনি পুঁইছড়ি ইসলামিয়া মাদরাসায় অধ্যয়ন শেষ করে তাঁরওস্তাদ পীরে কামেল আল্লামা ইলাহী বখশ (বাঁশখালীর ছোট হুজুর রহঃ) এরপরামর্শে দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন।এবং দারুল উলুম দেওবন্দ হতে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণহন।
উচ্চ শিক্ষাশেষে দেশে ফিরে এসে শিক্ষা
বিস্তার ও সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
পাশাপাশি নানামুখি সমাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হন। তিনি শিক্ষা বঞ্চিত ওঅবহেলিত সমাজে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তর ওছহী আকিদা প্রতিষ্ঠর লক্ষ্যে অজীবণ চেষ্টা করে গেছেন।
তিনি টইটং আরবিয়া জামেউল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে সুদীর্ঘ ২২ বছর কৃতিত্বের সাথে মাদরাসা পরিচলনা করেন। পরবর্তী ১৯৮০ সালে পূর্বটইটং বনকানন এশায়াতুল উলুম মাদরাসাপ্রতিষ্ঠা করে এলাকার ছেলেমেয়েদের বিনা বেতনে পড়া-লেখার সুযোগ করে দেন। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় বেশ কয়েকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। টইটং উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তিনি অবিভক্ত বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এর প্রথম হেডম্যান ছিলেন। তিনি
বনায়নের জন্যে এলাকার মানুষকে সচেতন করতেন এবং হাজার হাজার গৃহহীন মানুষের জন্য বন বিভাগের পতিত জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন।
তারই অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে
গড়েউঠা এলাকাটি এবং এলাকার মসজিদটি তাঁর নামেই (মৌলভী হাছনের জুম)নামকরণ করা হয়েছে। তিনি অবিভক্ত বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হন। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ওয়াজ নছিহতের মাধ্যমে শিরিক-বিদআতের
বিরোদ্ধে সঠিক আক্বীদাহ প্রচার করতেন। তাঁর বয়ান শোনার জন্যে মাহাফিলে দূর-দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ছুটে আসতো। তিনি ২০০০ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেণ।
সত্যিই তিনি না থাকলে আমাদেয় টইটং তথা পেকুয়া উপজেলা আজ অনেক পিছিয়ে থাকতো। তিনি আজীবন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। আল্লাহপাক যেন ওনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ আসন দান করেন।
আমিন….
রাব্বুল আলামীন।